রামপালে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি

সুন্দরবনের পরিবেশরক্ষায় পাশের এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে রামপালে মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2016, 04:25 PM
Updated : 12 July 2016, 04:26 PM

১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ওই কোম্পানির সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট কনস্ট্রাকশন-ইপিসি (টার্নকি) চুক্তি করে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।

বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য এবং বিএইচইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেম পাল যাদব চু্ক্তিতে সই করেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার এই কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক।

২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় চুক্তি সই অনুষ্ঠানে।

বিআইএফপিসিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বিপিডিবি এবং ভারতের এনটিপিসি’র সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিআইএফপিসিএল কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত হয়। মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট বিআইএফপিসিএলের প্রথম প্রকল্প, যা সরকারের অগ্রাধিকার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশেরই একজন গবেষক বলেছেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি।

“পরিবেশের জন্য হুমকি বা ক্ষতিকর কিছু এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে হবে না। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে সরকারের পক্ষ থেকেও তেমন ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।”

ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রামপালে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এর বিরোধিতা করছে। তাদের সঙ্গে কিছু পরিবেশবিদ ও রামপালের বাসিন্দারাও রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ কুমার পূজারী, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ভারতের এনটিপিসি’র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গুরদীপ সিং, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিপি) চেয়ারম্যান শামসুল হাসান মিঞা বক্তব্য দেন।