রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতিকে বুধবার চিঠি দিয়েছে এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা।
Published : 15 Jan 2025, 11:02 PM
অর্থবছরের মাঝপথে এসে হঠাৎ রেস্তোরাঁ খাতে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছে।
এ কর্মসূচি পালনের আগেই ভ্যাট পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির তরফে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার তিন হাজার রেস্তোরাঁ মালিকদের নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের-এনবিআর ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়।
ভ্যাট পুনঃবিবেচনার এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে সমিতির সভাপতিকে বুধবার চিঠি দিয়েছে এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা।
পুনঃবিবেচনা করে ভ্যাট কত কমানো হয়েছে, জানতে চাইলে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক বিধি) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমানো হলে তো আদেশই জারি হত।”
কমানো হবে নাকি সরকার আবার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “কমবে। ডেফিনেটলি কমবে। আগামী সপ্তাহে আদেশ জারি হতে পারে।”
সমিতিকে পাঠানো এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়, রেস্তোরাঁ মালিকদের পাঠানো আগের চিঠিটি এনবিআর গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা ও রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট হার পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘ভ্যাটের আওতাসহ রাজস্ব বৃদ্ধি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে’ এনবিআর সমিতির সহযোগিতাও চায় বলেও এতে তুলে ধরা হয়।
তার আগে বুধবার সমিতির তরফে মানববন্ধনের ডাক দিয়ে বলা হয়, সরকার হঠাৎ করে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাটের হার তিনগুণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, সেখানে হঠাৎ করে ব্যবসায়ীদের সাথে কোনো আলোচনা না করে তৈরি পোশাক, রেস্তোরাঁ, মিষ্টিসহ ৪৩টি পণ্য ও সেবার উপরে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ‘অবিবেচনাপ্রসূত’।
৯ জানুয়ারি রাতে শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
তার মধ্যে রেস্তোরাঁর ভ্যাট ৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সেদিনই বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়া রেস্তোরাঁ খাতে বিদ্যমান নানা সমস্যা তুলে ধরে তারা বলেন, সরকার রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ও জনগণের স্বার্থ, জীবন-জীবিকা এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনা না করে সিদ্ধান্তে অটল থাকায় সমিতি বাধ্য হয়ে পরবর্তী কর্মসূচি (মানববন্ধন) বৃহস্পতিবার সকালে দেশব্যাপী পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা জেলার মানববন্ধনের স্থান ঠিক করা হয় শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনবিআর ভবনের সামনে।