ইজিবাইককে বৈধতা দিতে কাজ চলছে বলে জানান নসরুল হামিদ।
Published : 19 Jul 2023, 11:18 PM
ব্যাটারিচালিত যানবাহন নিয়ে নানাজন নানা বিতর্ক করলেও সরকার খরচ সাশ্রয়ী এই বাহনকে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিদ্যুৎ নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ব্যাটারিচালিত অটো বা ইজিবাইক নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কেউ বলেন এগুলোর ফিটনেস নেই। কেউ বলেন, অবৈধ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তরল জ্বালানি ইঞ্জিনের দক্ষতা যেখানে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ, সেখানে এসব ইলেক্ট্রিক গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা ৮০ শতাংশের উপরে।
“আমরা এসব গাড়িতে উৎসাহিত করছি। এগুলো যেন রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেতে পারে সেজন্য বিআরটিএর সঙ্গেও কাজ চলছে।”
বেসরকারি সংস্থা ইন্টারনেশনাল গ্রোথ সেন্টার বা আইজিসি কয়েকটি পর্বে দিনব্যাপী এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকালে শেষ পর্বে ‘পাওয়ারিং প্রগ্রেস: ওভারকামিং চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ড্রাইভিং ইনোভেশন ইন বাংলাদেশ এনার্জি সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনা হয়।
লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শেফালী খান্না, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভার্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের রোহিনী কামাল অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অতনু রব্বানী অনুষ্ঠানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমাদের জন্য ব্যয়বহুল। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং উর্বর ভূমি বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
“তবুও সরকার সৌর বিদ্যুতের প্রসারে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সৌর শক্তি থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।”
সৌর সেচ প্রকল্পে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের কৃষকদের পক্ষে সৌর প্যানেলের রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন। তবুও বৈশ্বিক জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি বিবেচনায় আমরা সোলার ইরিগেশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। প্রায় ১২ লাখ সেচ পাম্পকে সৌর বিদ্যুতের আওতায় আনা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবুও আমাদের এই দিকে যেতে হবে।”
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ প্রসঙ্গে বলেন, “ক্যাপাসিটি চার্জ হচ্ছে মৌলিক বিষয়। ক্যাপাসিটি চার্জ হচ্ছে বিনিয়োগের গ্যারান্টি। সারাবিশ্বেই ক্যাপাসিটি চার্জ বিদ্যমান।”