বাজেটে বড় সমস্যার ‘সরল সমাধান’ চান সালেহউদ্দিন

ব্যাংক ব্যবস্থায় সংস্কার এনে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে বাজেটে রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক এই গভর্নর।

শেখ আবু তালেববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 04:02 PM
Updated : 31 May 2023, 04:02 PM

নানামুখী চাপের মধ্যে সরকারের মেয়াদের শেষ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট অর্থমন্ত্রী দিতে যাচ্ছেন, সেখানে খুব বেশি নতুনত্ব আশা করছেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তার মতে, এক বছরের জন্য দেওয়া বাজেটে অর্থনীতির চলমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় স্বল্প মেয়াদী উদ্যোগগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সোজাসুজি সরল সমাধানটা বাজেটে থাকা চাই।

আগামী বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। তার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কথা বলেছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তার মতে এই মুহূর্তে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া ডলার সঙ্কট সামলানোর পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোরও উপায় থাকতে হবে বাজেটে।

ব্যাংক ব্যবস্থায় সংস্কার এনে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন সাবেক এই গভর্নর। তার বিশ্বাস, সংস্কারের উদ্যোগ নিতে বাজেটে এই সিদ্ধান্ত আনা শুধু একটি রাজনৈতিক সরকারের পক্ষেই সম্ভব।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাজেট যেহেতু এক বছরের জন্য দেওয়া হয়, সেহেতু অর্থনীতিতে চলমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় স্বল্পমেয়াদী উদ্যোগেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এরপর মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার দিকে নজর দেওয়া উচিত। আগামী বাজেট সেরকমই হবে বলে মনে করি।”

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কীভাবে

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অর্থনীতিতে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর সমাধানের উপায় সরলভাবে আসা উচিত।”

তার মতে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে গভীর সংযোগ ও সমন্বয় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।

“মুদ্রানীতিতে সবকিছুর সমাধান সম্ভব নয়। এর প্রভাব কোন কোন খাতে কী রকম পড়ে তার সমাধান সরকারকে রাজস্ব নীতির মাধ্যমে বের করতে হবে।”

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সুদহার বাড়িয়ে দিলে সাধারণ মানুষের আয় বাড়বে। ব্যাংকের আমানত বাড়বে। কিন্তু ব্যবসায় যে উৎপাদন খরচ বাড়বে, তার সমাধান সরকারকে ভিন্নভাবে করতে হবে।

“এর আগে সরকারকে দেখতে হবে কম সুদের যে সুবিধা ব্যবসায়ীরা নিয়েছেন, তা অর্থনীতিতে আদৌ কোনো সুবিধা দিয়েছে কি না।”

নতুন বাজেটের প্রাথমিক যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি রেখে আয়-ব্যয়ের হিসাব সাজানো হচ্ছে, যা জিপিডির ৫.২ শতাংশের সমান। এই ঘাটতি মেটাতে সরকারকে বৈদেশিক বা দেশীয় উৎসব থেকে ঋণ করতে হবে।  

বাজেট ঘাটতি দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতাও বাড়ছে মন্তব্য করে সালেহউদ্দিন বলেন, “বাজেট বাস্তবায়নে কোনো মতেই ব্যাংক ঋণ নেওয়া উচিত নয়। নিতে হলেও তা সামান্য পরিমাণে হওয়া উচিত।”

তার মতে, সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ৭ শতাংশ সুদে সরকারকে ঋণ দিচ্ছে। তাতে বেসরকারি খাত নিরুৎসাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে সুশাসন ও জবাবদিহিতার অভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটছে অহরহ। তাতে ব্যাংক খাতে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে,তারল্যও কমছে। সে কারণে অনেক ব্যাংক সরকারকে আর ঋণ দিতে পারছে না বলে জানান সালেহউদ্দিন।

তিনি বলেন, “ঋণ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন নতুন টাকা ছাপিয়ে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে ৭০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অর্থবছর শেষে তা এক লাখ কোটিতে যাবে।

“অর্থনীতি বড় হলে এবং আমাদের নগদ টাকায় লেনদেন হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছর কিছু নতুন নোট ছাপে, কিন্তু এবার বেশি ছাপছে। এতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরো বাড়াবে। এই টাকা সরকার কোন খাতে ব্যয় করছে তা একটি প্রশ্ন হয়ে উঠছে।”

ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ করার বদলে সরকারকে সঞ্চয়পত্র থেকে ধার নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই অর্থনীতিবিদ।

তার যুক্তি, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিলে সরকারকে যে সুদ দিতে হয়, তা দেশের অর্থনীতিতেই খরচ হয়, সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে সহায়তা করে।

“এ খাতের সুদ ব্যয় তো হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের পেছনে। সরকার এ খাত থেকে ঋণ নিতে পারে।”

ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্নীতি খুব দ্রুত সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাতে সাধারণ মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে জানিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, “এজন্য ঋণ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে।”

খেলাপী ঋণ

ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ। সময়ে সময়ে নানাভাবে ছাড় দেওয়ার পরও গত মার্চে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের হিসাব বলছে, ওইসব ছাড় বা সুবিধা প্রত্যাহর করা হলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত অংক দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ব্যাংকারদেরই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ঋণ বিতরণ করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংক, তাই খেলাপি হওয়ার পর প্রথম দায়িত্ব ব্যাংকে নিতে হবে।

পাশাপাশি খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘শক্ত পদপেক্ষ’ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।

সালেহউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যত প্রকার টুলস (নীতি উপরকরণ) রয়েছে, তা প্রয়োগ করতে হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও সাহস দেখাতে হবে।”

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কোনো ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারি হলে নতুন শাখার অনুমোদন না দেওয়া, প্রধান নির্বাহী হিসেবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বেতন কমিয়ে দেওয়ার মত পদক্ষেপ নিতে হবে। সিআরআর বাড়িয়ে দিতে হবে। নতুন ঋণ বিতরণ সাময়িক বন্ধ করে দিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া দুর্বল ব্যাংক এত বেশি না রেখে একীভূত করার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক এ গভর্নর বলেন, “সব ঋণ গ্রহীতার ক্রেডিট ইনফরমেশন আরো সহজ করার পাশাপাশি পরিসর বাড়াতে হবে। তার সকল ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে এই তথ্য সংযোজিত থাকবে। নতুন করে কেউ ঋণ নিতে গেলে বা বাকিতে পণ্য কিনতে গেলে তথ্য ভেসে উঠবে।”

উন্নত বিশ্বে এমন নিয়ম রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেসব দেশে খেলাপিরা কোনো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের সামাজিক অনেক সুবিধা বাতিল হয়ে যায়।

বাংলাদেশেও খেলাপিদের বিমানে চলাচল ও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের মত সুবিধাগুলো বাতিল করার পরামর্শ দেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

ডলারের নিদান

বৈশ্বিক সঙ্কেটের যুক্তি দেখিয়ে রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে ডলার সংকট কাটবে না বলে মনে করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “ভোগ্য পণ্য, সেবা, শিক্ষা ও পরিবহন খাতে যা আমদানি হয়, তা খুব বেশি নয়। এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণ করে রিজার্ভ খুব একটা সাশ্রয় হবে না। বরং নিয়ন্ত্রণ করায় উল্টো তা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের এসব খাতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”

ডলারের যোগান বাড়াতে রেমিটেন্স বৃদ্ধির উপর জোর দিতে বলছেন সাবেক এই গভর্নর।

তিনি বলেন, “দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক নয়। তাই বিদেশে কর্মী পাঠাতে তাদের আরেকটু প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নেপাল, শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা আমাদের দেশের প্রবাসীদের চেয়ে এজন্যই বেশি আয় করে। প্রবাসীদের বিদেশ যাওয়ার খরচ ৫-৭ লাখ টাকা কেন হবে? সরকার তো এ খাতে খরচ কমিয়ে আনতে পারে।”

সঙ্কট সামাল দিতে ডলারের একাধিক বিনিময় হার চালুর বিষয়টি শেষ বিচারে সুফল বয়ে আনবে না বলেও মনে করেন সালেহউদ্দিন।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “হুন্ডিতে এর চেয়ে বেশি দরে তারা পায়। বেশি দর যেখানে পাবে সেখানেই যাবে তারা। এজন্য ডলারের একটি দর হবে এবং তা বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। বৈধ পথে ডলারের দর বেশি হলে সবাই ব্যাংকেই ডলার পাঠাবে।”

ডলারের অপ্রতুলতার কারণে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকট। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ হিসেবে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন এই অর্থনীতিবিদ। 

তিনি বলেন, “বড় শিল্প কারখানাগুলোকে কোন দামে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে, আর এসএমই ও বাসাবাড়িতে কোন দামে বিদ্যুৎ ও গ্যাস দেবে– তা সরকারের ভাববার সময় হয়েছে। আমার মনে হয়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনে যে খরচ হয়, সরকারের সেই খরচেই শিল্প কারখানায় দেওয়া উচিত। উৎপাদন খাতে খরচ মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া উচিত। এগুলো জনগণের স্বার্থে দিতে হবে। এখানে মুনাফা করার দরকার নেই।”

রাজস্ব আদায়

বাজেট ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু সালেহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা ‘মোটেও ভালো নয়’।

তিনি বলেন, “সরকারি সংস্থাগুলোতে দুর্নীতি হচ্ছে। কর আদায়ে এনবিআরের যথেষ্ট ‍দুর্বলতা রয়েছে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে, এনবিআরকে কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হবে। নতুন জরিপের মাধ্যমে উপজেলা শহরের অনেক মুদি দোকানকেও করের আওতায় আনা সম্ভব।”

কর ব্যবস্থা দ্রুত ডিজিটাল করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ঘরে বসে কর দেওয়া যায়। পৃথিবীর কোনো দেশেই কর কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হয় না কারো। কারণ দেখা হলেই আন্ডার টেবিল লেনদেনের সুযেগ তৈরি হয়।”

প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের ওপর জোর দিয়ে সালেহ উদ্দিন বলেন, “কর কাঠামো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হয়। পরোক্ষ কর সবাইকে সমভাবে আঘাত করে। গরিব মানুষ যেভাবে ভ্যাট দেয়, ধনী শ্রেণিও একই হারে ভ্যাট দেয়। এতে অসমতা তৈরি হয়।

“আমাদের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু এর সুফল মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণি পাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে যে আয় বাড়ছে তা কিন্তু সবার নয়। সাম্প্রতিক সময়ে আবার আয় কমে যাচ্ছে। তাই অসমতা দূর করতে প্রবিৃদ্ধির সুফল সবার ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।”

রাজস্ব আহরণে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়ে সাবেক এই গভর্নর বলেন, “পৃথিবীর কোনো দেশই ভ্যাট নির্ভর নয়। আমাদের ভ্যাট থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। নেপালের মত দেশে কর-জিডিপি রেশিও ২৩ শতাংশ, ভারতে ১৫ শতাংশ, আর আমাদের মাত্র ৮ শতাংশ। আইএমএফ এখন বলছে এটা ১৪ শতাংশ হতে হবে।”

কর আদায়ে উপরের স্তরে সম্পদ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে বাজেটে সামাজিক উনন্নয়ন ও ‍গুণগত মানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা থাকা দরকার।

“বাজেটে প্রকল্প বাস্তবায়নে খুব নজর দেওয়া দরকার। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না, তা লস প্রকল্প। এগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত একেবারেই। দুর্নীতি হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই এসব প্রকল্প বাঁচিয়ে রেখে।”

শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে মন্তব্য করে বাজেটে এসএমই শিল্প খাতে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।