চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে যুক্ত হলো রোবট। এর মাধ্যমে বিষ্ফোরকসহ বিভিন্ন ধরনের বোমা খোঁজা আরও সহজ হবে।
আইকোর এমকে-৩ নামের দুইটি রোবট রোববার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. লিয়াকত আলী খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অধীনে অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্স (এটিআই) প্রোগ্রামের আওতায় রোবট দুইটি তারা পেয়েছেন। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটও এ ধরনের রোবট পেয়েছে একই প্রোগ্রামের আওতায়।
তিনি জানান, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ রোবট দুইটি পরিচালনার জন্য এটিআই কর্মকর্তারা সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছেন রোববার থেকে।
সিএমপি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা জানান, এ রোবটগুলো ৩৬০ পর্যন্ত বাঁক নিতে পারে। বিভিন্ন দিকে ক্যামেরা আছে। তিন ফুট চওড়া ও দুই ফুট লম্বা এ রোবট দুইটি ক্রেন আকৃতির। রিমোটের মাধ্যমে যেকোনো স্থানে সেগুলোকে পাঠানো যাবে এবং সন্দেহজনক বস্তু অপসারণ করে নিয়ে আসতে পারবে।
সিএমপি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের প্রধান পরিদর্শক আফতাব হোসাইন জানান, আগে কোনো স্থানে বিস্ফোরক জাতীয় বস্তুর সন্ধান পেলে তাদের বোমস্যুট পড়ে যেতে হত। রোবট দুইটি যুক্ত হওয়ায় নিরপদ দূরত্বে থেকে রিমোটের মাধ্যমে যেকোনো বিস্ফোরক অপসারণ ও নিষ্ক্রিয় করা যাবে।