পলিথিন আর প্লাস্টিকের সঙ্গে মেডিকেল বর্জ্য, ভাঙা কমোড, লেপতোষক- কিছুই ফেলা বাদ যায়নি চট্টগ্রাম নগরীর খাল ও নালাগুলোতে।
বুধবার সকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে হিজড়া খাল ও সংলগ্ন নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে এসব বর্জ্য পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সরকার দিবস ঘিরে অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়ে খাল আর নালা পরিষ্কারের অভিযানে নেমে এমন বর্জ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “খাল-নালায় জমে থাকা মাটি-পলিথিন পরিষ্কার করতে পারলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছি৷ কিন্তু কিছু মানুষের অসচেতন আচরণ নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার পেছনে বড় বাধা৷ এজন্য আমরা সচেতনতা বাড়াতে জোর দিচ্ছি৷”
মানুষ সচেতন না হলে কখনই এ শহর পরিষ্কার রাখা যাবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, “জনগণ যদি সচেতন হয় ভৌগোলিক কারণে বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। এরপর কেউ অযথা নালায় ময়লা ফেললে, যার প্রতিষ্ঠান বা বাসার সামনে ময়লা পাবে, তাকে আইনের আওতায় আনবে, জরিমানা করবে।”
শহর পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করেন মেয়র।
জলাবদ্ধতা কমাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সঙ্গে সমন্বয় থাকার কথা জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, “নগরীর ৩৬টি খালে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলছে সিডিএর অধীনে। এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্লাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ।
“তাই সিডিএকে জানিয়েছি যাতে বর্ষার আগে অন্তত চলমান প্রকল্পের অধীন নালা-খালগুলোতে জমে থাকা মাটি সরিয়ে নেওয়া হয়৷ খাল-নালা পরিষ্কার থাকলে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীর অভ্যন্তরীণ নালার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এগুলো পরিষ্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি। এটা চলমান থাকবে।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনু, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন৷