শনিবার উদ্বোধনের পরদিন সকাল থেকে টানেল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
Published : 26 Oct 2023, 04:10 PM
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দেশের প্রথম এ টানেল উদ্বোধন করবেন। পরদিন এ সুড়ঙ্গপথ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে সব প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে গাড়ি নিয়ে আনোয়ারা প্রান্তে যান তারা।
প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, “এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম (নদী তলদেশের) টানেল। কর্ণফুলী অত্যন্ত খরস্রোতা নদী। এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। এটা আমাদের প্রকৌশলীদের সক্ষমতার প্রকাশ।
সরকার আশঅ করছে, ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেল চট্টগ্রাম শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল বদলে দেবে এবং খুলে দেবে বাণিজ্যের বহুমুখী দুয়ার।
জেলা প্রশাসক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প নগর হয়েছে। সেখানে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এবং মাতারবাড়িতে ডিপ সি পোর্ট হবে। গভীর সমুদ্র বন্দর হবার পর টানেলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে৷
“মাতারবাড়ি চট্টগ্রামসহ এ অঞ্চল হবে অর্থনৈতিক হাব। এখন শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হয়ে যে আমদানি রপ্তানি হয় তা হবে এই হাব থেকে। ফলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতি ও জিডিপি অনেক বাড়বে।”
প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, “১০০ বছর লাইফটাইমে এই টানেল তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর মেনটেইনেন্স ও অপারেশন করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিসিসিসি। উদ্বোধনের পরদিন সকাল থেকে টানেল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে আপাতত কোনো থ্রি হুইলার বা মটর সাইকেল চলবে না। কেউ হাঁটাহাঁটিও করতে পারবেন না টানেলে।”
কর্ণফুলীর দুই তীরকে যুক্ত করা এই টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার যোগান দিয়েছে। চীন সরকারের অর্থ সহায়তা ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। মূল টানেল নির্মাণ কাজের শতভাগ খরচ বহন করছে চীন সরকার।
মূল টানেল ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। যার মধ্যে টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড আছে।