গণ্ডামারার লেয়াকত ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার

লেয়াকতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ২১টি মামলা আছে। কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2024, 01:44 PM
Updated : 8 Feb 2024, 01:44 PM

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে আলোচিত গণ্ডামারার ইউনিয়নের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার রাতে তাকে নয়া পল্টনের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার।

বাঁশখালী থানার ওসি মো. তোফায়েল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লেয়াকতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ২১টি মামলা আছে। কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে।

“আমাদের একটি দল তাকে আনতে ঢাকায় গেছে। কিন্তু তারা এখনো এসে পৌঁছেনি। তাকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না।”

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর গন্ডামারায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ড্রেজিং এর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

লেয়াকতের অনুসারীদের হামলায় সেদিন চার পুলিশ আহত হন। ওই হামলার ঘটনায় ঠিকাদার ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়।

পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে লেয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কয়েকদিন পর জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি।

এরপর গত বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ‘এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের ঠিকাদারের কাজে বাধা দান, পুলিশের ওপর হামলা, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বক্তব্য প্রদান, চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যুতা, জলদস্যুতা, জলদস্যু ও সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পৃক্ততার’ অভিযোগে লেয়াকত আলীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

২০১৬ সালের এপ্রিলে এস আলম গ্রুপের ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতায় আন্দোলনের মধ্যে চারজন নিহত হলে আলোচনায় আসেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি নেতা লেয়াকত। আন্দোলনের পর তিনি পুনরায় গণ্ডামারা ইউপির চেয়ারম্যান হন।

২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের অফিসের সামনে মতবিনিময় সভা চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হলে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর হয়।

পরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২৭ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।