চট্টগ্রামে চার বছর আগে ইয়াবা পাচারের সময় গ্রেপ্তার পুলিশের এক এএসআইকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার বুধবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত আবুল বাশার বরখাস্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনসে এএসআই হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি স্বরূপ পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ অগাস্ট প্রায় ৩২ হাজার ইয়াবাসহ চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়াহাট বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন বাশার।
ওই ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে জোরারগঞ্জ থানায় মাদক আইনে মামলা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
একই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করে বাশারের বিচার শুরু করে আদালত। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন বিচারক।
বাশারকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পের তৎকালীন অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম জানিয়েছিলেন, বাশার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শশীদলে মদ্যপ অবস্থায় অবৈধ মোটর সাইকেলসহ বিজিবি সদস্যদের হাতে তিনি আটক হন। তারপর তাকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়।
বাশারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা ফাহিম জানিয়েছিলেন, কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিলেন ওই পুলিশ সদস্য। এর আগেও তিনি একইভাবে ইয়াবা বহন করলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় ধরা পড়ে যান।
পুরনো খবর