চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ফিশারিঘাটে নতুন করে নির্মিত ১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি-বাকলিয়া সার্কেল) এস এম এন জামিউল হিকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফিশারিঘাটে নতুন করে আটটি পাকা ও দুইটি অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। আমরা খবর পেয়ে সেগুলো উচ্ছেদ করেছি।”
২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদীর তীরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের সময় তীরবর্তী জায়গাটি সমতল করে ফেলেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে সেটি লিজ নিয়ে নতুন ফিশারিঘাট করা হয়। এ ফিশারিঘাটে দোকান, আড়ত, বরফকলসহ অন্তত দুই শতাধিক স্থাপনা রয়েছে।
নতুন এ ফিশারিঘাট নির্মাণের সময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন নদী দখল করে এটি নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলেন।
গত ৮ নভেম্বর নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কর্ণফুলী নদী পরিদর্শনের গিয়ে নদীর তীরে গড়ে ওঠা ফিশারিঘাট এবং স্থাপনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নদীর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নদীটি দখলমুক্ত করার তাগিদ দিয়েছিলেন।
পরে কমিশন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাকলিয়া মৌজায় গড়ে ওঠা ফিশারিঘাট ও বরফকলসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীর জমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে। এসব স্থাপনা সরিয়ে খনন করে নদীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন।
কর্ণফুলীর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান
কর্ণফুলীর দখল-দূষণ রোধে 'দৃশ্যমান পদক্ষেপ' নেবে নদী রক্ষা কমিশন