চবি কর্মচারী মানিক সাময়িক বহিষ্কার

ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপে দুই ব্যক্তির সঙ্গে মানিককে এক কর্মচারীর ‘আর্থিক লেনদেন’ নিয়ে আলাপ শোনা যায়।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2022, 03:14 PM
Updated : 7 August 2022, 03:14 PM

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পদে নিয়োগ নিয়ে দুই ব্যক্তির সঙ্গে এক কর্মচারীর ফোনালাপ ফাঁসের পর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে রেজিস্ট্রার অফিসের অফিসার্স সেলের গ্রন্থাকার সহকারী পদে কর্মরত মানিক চন্দ্র দাসকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়ে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।

অধ্যাপক মনিরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে অফিসার্স সেলের গ্রন্থাকার সহকারী পদে কর্মরত মানিক চন্দ্র দাস বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তে গতকাল উপাচার্য একটি চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন।

“তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মানিক চন্দ্র দাসকে রোববার থেকে তার কর্মস্থল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।”

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি ফোনালাপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ফোনালাপে নিয়োগ প্রত্যাশী দুই ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর ‘আর্থিক লেনদেন’ নিয়ে আলাপ শোনা যায়।

নিয়োগপ্রার্থী মাকসুদুল সালেহীন নামের এক ব্যক্তির দাবি, রেজিস্ট্রার অফিসের গ্রন্থাগার সহকারী পদে কর্মরত মানিক চন্দ্র দাসের সঙ্গে তার ফোনালাপ এটি, যার সঙ্গে তিনি নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে তিন জনের নিয়োগের জন্য কয়েক দফায় মোট আট লাখ ২০ হাজার টাকা লেনদেন করেছেন।

নিয়োগপ্রার্থী মাকসুদুল সালেহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছর চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানিক চন্দ্র দাস আমার কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়।

“পরে আমি জানতে পারি তিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার সাথে প্রতারণা করছে। তাই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আমি মানিক চন্দ্র দাসকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।”

বাকি দুই নিয়োগ প্রত্যাশী তার গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান মাকসুদুল।

‘ফাঁস হওয়া’ একটি অডিও ফোনালাপে লেনদেন করা টাকা ফেরত চাওয়ায় চাকরি প্রার্থীকে ‘হুমকি’ দেন মানিক। আরেকটি ফোন কলে প্রার্থী ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বললে মানিককে ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দিতে শোনা যায়।

এ বিষয়ে তদন্ত করতে গতকাল চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।