জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামের এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার ‘মৎস্যচাষী’ স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুল আলম মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার সাবেক ওসি ও বর্তমানে শিল্প পুলিশের পরির্দশক মো. শাহজাহান ও তার ফেরদৌসী আক্তার। অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
দুদক কর্মকর্তা আতিকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরিদর্শক শাহজাহান ও তার স্ত্রী এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তাদের এক কোটি ২৮ লাখ চার হাজার ৪১৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যা তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
২০০৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ২৬ (২), ২৭ (১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২), ৪ (৩) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার তৎকালীন ওসি মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর তাকে ও তার স্ত্রী ফৌরদৌসী আক্তারের সম্পদ বিবরণী দাখিলের চিঠি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল পরিদর্শক শাহজাহানের স্ত্রী ফেরদৌসী তিন কোটি ২১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, যেখানে স্বামীর কাছ থেকে দান হিসেবে ৪৩ লাখ ১০ হাজার ৮৬৭ টাকা পাওয়ার কথা জানানো হয়।
ফেরদৌসীর নিজের স্থাবর সম্পত্তি দুই কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৩ টাকা দেখালেও তার সঠিক পরিমাণ দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৭ টাকা বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০০৬-০৭ থেকে ২০২০-২১ কর বছরে দাখিল করা রিটার্নে ফেরদৌসী বৈধভাবে আয়ের পরিমাণ দেখান দুই কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৪২৭ টাকা; যার মধ্যে মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি খামার থেকে আয় দেখানো দুই কোটি ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৫ টাকা। কিন্তু এর পক্ষ কোনো কাগজপত্র তিনি দাখিল করেননি।
ফলে ওই আয় তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর ‘দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত’ বলে মনে করছে দুদক।