আন্দোলনকারীদের অবস্থান ও সংঘর্ষের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
Published : 18 Jul 2024, 12:26 PM
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা সেতু এলাকায় অবস্থান নিলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষের পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিলে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, সকালে সেতুর উত্তর প্রান্তের মোড়ের কাছে অবস্থান নিয়ে শখানেক আন্দোলনকারী ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষিণ প্রান্তের বিভিন্ন উপজেলা এবং কক্সবাজার ও বান্দরবানের দিক থেকে আসা সাধারণ মানুষজন ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে।
বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বললে তারা আরও ১০ মিনিট সময় নেয়। এরপর আবার তাদের সরতে বললে আন্দোলনকারীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জবাব দেয়। আন্দোলনকারীরা তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে সেতু সংলগ্ন চাকতাই বাকলিয়ার আশেপাশে বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকে।
পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাটের দিকে পাঠিয়ে দিলে সেখানেও থেমে থেমে ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী আন্দোলনের নামে রাস্তা বন্ধ করেছিল। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নয়।
“যারা প্রকৃত আন্দোলন করছে তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু এটা সাধারণ শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ নয়। তারা আমাদের (পুলিশ) আক্রমণ করেছে। তাদের সরিয়ে দিয়েছি। জনদুর্ভোগ রোধ করা পুলিশের কাজ।”
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সকাল থেকেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যানবাহন চলাচল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অটো রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকলেও নগরীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিল্প কারখানায় কাজ চলছে। ব্যাংক-বীমা ও সরকারি অফিসগুলো ঠিকঠাক মত চললেও সকালে গ্রাহক উপস্থিতি ছিল কম।
সকাল থেকেই নগরীতে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য টহল দিচ্ছেন। বিজিবি সদস্যরা সাঁজোয়া যানে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, হাটহাজারী, চন্দনাইশ ও নগরীতে টহল দিচ্ছেন বলে বিজিবি চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানিয়েছেন।