রাউজানে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আবসার ও টিটু বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহযোগী

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2022, 02:09 PM
Updated : 17 August 2022, 02:09 PM

চট্টগ্রামের রাউজানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলিসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার ভোরে রাউজান উপজেলার পালোয়ান পাড়া থেকে অভিযান চালিয়ে নুরুল আবসার (৪৩), কামরুল হাসান টিটু (৫৫) ও গিয়াস উদ্দিন বাবুলকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আবসার ও টিটু যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই ও বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহযোগী।

তাদের কাছ থেকে ৪৫ রাউন্ড কার্তুজসহ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুইটি একে-২২ রাইফেল, আট রাউন্ড গুলিসহ ইতালির তৈরি একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের সেমি অটোমেটিক পিস্তল, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি এলজি, একটি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড বড় সাইজের কার্তুজ ও বিভিন্ন ধরনের বেশ কিছু বুলেট উদ্ধার করা হয়।

এসব অস্ত্র ও গুলি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হতো বলে পুলিশের ধারণা।

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রশিদুল হক জানান, “বুধবার ভোরে টিটুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই ও বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর যোগাযোগ আছে।”

মধ্যপ্রাচ্য থেকে এক ব্যক্তি টিটুকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দিতো- এমন তথ্য জানালেও ওই ব্যক্তির নাম এড়িয়ে যান তিনি। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার রশিদুল হক।

জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ভোর রাতে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পালোয়ান পাড়ায় টিটুর বাড়িতে অভিযানে যায়।

“সেখান থেকে তিন জনকে আটকের পর তাদের কাছ থেকে কার্তুজ, বিদেশি রাইফেল ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে নোয়াপাড়া বাজারের কাছে আবসারের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় থ্রি নট থ্রি রাইফেল, এলজি, একনলা বন্দুক ও বিভিন্ন ধরনের বুলেট।”

চট্টগ্রামের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ফজল হকের সহযোগী হিসেবে উত্থান হওয়া টিটুর বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্প লুট, আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হত্যাসহ আটটি মামলা আছে। শ্রীকান্ত রক্ষিত হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন টিটু। পরে নিম্ন আদালত থেকে এ মামলায় খালাস পান।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গড়া এনডিপির ক্যাডার ছিলেন কামরুল হাসান টিটু। ২০১৫ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পা হারান টিটু। এরপর তিনি ডাকাত দলের সংগঠক হিসেবে কাজ করছিলেন। বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় গিয়ে তার লোকজন ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে থাকে।