প্রদীপের অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2022, 10:55 AM
Updated : 17 Jan 2022, 10:55 AM

সোমবার আসামিপক্ষের আবেদনে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ শুনানি পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন। 

আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে এদিন বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। 

আসামির আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত তারিখে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি আমরা হাই কোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ (এ) ধারায় অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদন করেছি। 

“এর একটি সার্টিফায়েড কপি আদালতে জমা দিয়ে বলেছি, হাই কোর্ট ওই আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ এখনো দেয়নি। তাই যেন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা না হয়। আদালত শুনানি শেষে আজ আর সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।”

গত ১৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এ মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। সেদিনই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন রাখা হয়েছিল।

পাশাপাশি এ মামলার অপর আসামি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী পলাতক চুমকি কারণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিল আদালত। 

কক্সবাজারের টেকনাফের কাছে বাহারছড়া চেকপোস্টে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

ওই ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস কক্সবাজারের হাকিম আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে ১ নম্বর এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

মামলা হওয়ার পর ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর প্রদীপকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এরপর প্রদীপের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ সামনে এলে দুদকও তার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে। ওই বছরের ২৩ অগাস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তন্ত শেষে গতবছর ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয় সেখানে।  

প্রদীপ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে যে সম্পদ অর্জন করেছেন তা স্ত্রী ও শ্বশুরের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।