বৃহস্পতিবার বিকালে টাইগার পাসে নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যযালয়ে ট্রাকভর্তি স্ল্যাব নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ী মনজুর।
এরপর তিনি মেয়র রেজাউলের কক্ষে যান। তিনি নগরীতে বিদ্যমান সমস্ত খোলা নালার উপর জরুরিভিত্তিতে ঢাকনি দিতে মেয়রকে অনুরোধ করেন।
মনজুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শহরের নালায় স্ল্যাব নেই। মানুষ পড়ে মারা যাচ্ছে। লোকজন নানা কথা বলছে। শুনলে তো আমারও খারাপ লাগে। তাই গিয়ে সবাইকে বলেছি স্ল্যাব বসাতে ও আলোর ব্যবস্থা করতে।”
বিএনপি থেকে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মনজুর বলেন, “মেয়র সাহেবকে বলেছি, আসলে মানুষ চিনে জনপ্রতিনিধিকে। আপনি জনপ্রতিনিধি। জলাবদ্ধতা তো আসলে আপনার কাজ। সিডিএ বা সেনাবাহিনী জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঠেলাঠেলি করে লাভ কী। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সবাইকে তো মিলেমিশে কাজ করতে হবে।”
নিজের কাছে থাকা ১০-১৫ ফুট লম্বা ও তিন ফুট চওড়া ফাইবারের তৈরি এক ট্রাক স্ল্যাব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি আলম বলেন, “আপাতত যা আছে, তা বিছিয়ে দিতে বলেছি খোলা নালা-নর্দমায়। যাতে মানুষ নিরাপদে হাঁটতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া যেখানে নালায় পড়ে মারা যান, সেখানে আলো না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “(বৈঠকে) প্রধান প্রকৌশলী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ছিলেন, তাদের বলেছি আলোর ব্যবস্থা করতে। একসময় আমিও মেয়র ছিলাম। উনারা সবাই আমার সাথে কাজ করছেন। তাই বলেছি।”
সোমবার রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছে নাছির ছড়া খালে পড়ে মারা যান সাদিয়া। আগেও এমন কয়েকটি মৃত্যু ঘটেছে। এসব ঘটনায় একে অন্যকে দুষছেন নগরের দুই সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
২০১০ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রায় এক লাখ ভোটে হারিয়ে মেয়র হয়েছিলেন মনজুর। আগে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও মেয়র হন বিএনপিতে যোগ দিয়ে।
২০১৫ সালের নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছিরের কাছেই হারেন মনজুর। এরপর তিনি আবার পুরনো দল আওয়ামী লীগে ফিরে যান। গত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মনজুর। তবে মনোনয়ন পান রেজাউল।
আরও পড়ুন