নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জসীম উদ্দিন (২৭), নুরুল আজিম (২৮), জাবের আহম্মদ (৪৮) ও মোহাম্মদ নবী (২২)।
র্যাব-৭ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জসীম ও কিশোরীটি প্রতিবেশী। এলাকায় সম্পর্কে ‘চাচা-ভাতিজি’ হলেও জসীম ওই কিশোরীকে পাঁচ বছর পর বিয়ে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে গত ৭ জুন।
“কিশোরীর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং সেটি নিয়ে গত ১৩ জুন মেয়েটির বাবা র্যাব-৭ কার্যালয়ে আসেন। তার অভিযোগ পেয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ বলেন, “র্যাবের একটি দল মঙ্গলবার বাঁশখালী থেকে জসীমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি বলেন, জসীম বাঁশখালীর ছনুয়াতে বিকাশের ব্যবসা করেন। বিয়ে এবং চাকরির প্রলোভন দেখানোতে কিশোরীটি সহজেই জসীমের সাথে চট্টগ্রাম নগরীতে চলে আসে।
“জসীম কিশোরীটিকে বাকলিয়ার বাসায় রেখে পুনরায় বাঁশখালী চলে যায়। সেখানে জসীমসহ অন্যরা কিশোরীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে।”
র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজ জানান, কিশোরীকে ‘পাচারের পরিকল্পনা’ করেছিল জসীম। তাদের চক্রটির সঙ্গে আরও একজন জড়িত আছে। সেই মূলত এ পাচারের কাজ করে।
এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।