চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৪টার দিকে শিমুল আহমেদ বাবু নামের ২২ বছর বয়সী ওই তরুণের মৃত্যু হয় বলে বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির জানান।
বাবু মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরইতলা এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। তাকে নিয়ে চার দিন আগের সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছয় জনে দাঁড়াল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, গুলিবিদ্ধ বাবু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন ১৩২০ মোগাওয়াট ক্ষমতার ‘এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে’ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। সে সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। সেদিনই হাসপাতালে আরও একজন মারা যান।
ওই ঘটনায় অন্তত বিশজন শ্রমিক এবং তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ ও পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ বাঁশখালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম চীনের সেফকোথ্রি নামে একটি কোম্পানির সহায়তায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শ্রমিকদের ভাষ্য, বকেয়া বেতন ও রোজায় কাজের সময় পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে সেদিন সেখানে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: