শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াটের ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে’ এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় আমাদের ছয় পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।”
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, “চারজনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া আহত ১২ জনকে আনা হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আহতদের একজন পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলব্রত বড়ুয়া।
নিহতরা হলেন- আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), মোহাম্মদ রাহাত (২২) ও রায়হান (১৮)।
এদের মধ্যে রায়হান চট্টগ্রাম মেডিকেলে মারা যান জানিয়ে এএসআই শিলব্রত বড়ুয়ার বলেন, আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই সময়ে বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় স্থানীয় এক বিএনপিনেতার নেতৃত্বে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে আন্দোলন চলেছিল। এস আলম গ্রুপের এ কয়লিাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “শ্রমকিদের বেশকিছু দাবি-দাওয়া ছিল। এসব তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিতে চাচ্ছিল। শনিবার সকালে অসন্তাষ বাড়তে থাকে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে স্থানীয় লোকজনও জড়িয়ে পড়ে।”