দেওয়ানহাট ফ্লাইওভারের নিচে পাওয়া লাশটি ইয়াবা পাচারকারীর: পুলিশ

চট্টগ্রামের দেওয়ান হাট ফ্লাইওভারের নিচে এক মাস আগে উদ্ধার হওয়া যুবকের লাশটি একজন ‘ইয়াবা পাচারকারী’র বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2020, 02:46 PM
Updated : 28 Oct 2020, 02:46 PM

এই ঘটনার তদন্ত করে তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এই তথ্য জানিয়েছে।

পিবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, পেটের ভেতরে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে অসুস্থ বোধ করায় বাস থেকে নেমে গিয়েছিলেন নুরুল আলম নামে ওই যুবক, পরে স্থানীয় তিন যুবক তাকে মারধর করে বের করে নেয় ইয়াবা।

এই ঘটনায় রিয়াদ হোসেন, মো. ফারুক ও মো. খোকন নামে তিনজনকে আটক করা হয় সীতাকুণ্ড থেকে। তাদের মধ্যে খোকন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তার তিনজন সেখানে একটি সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। তারা জানিয়েছেন, নুরুল আলম সীতাকুণ্ডের বগুলা বাজারের কাছে রাত ৩টার দিকে বাস থেকে নেমে রাস্তায় বমি করছিলেন। তারা তা দেখে এগিয়ে গিয়েছিলেন।

“পেটে ইয়াবা থাকার কথা জানতে পেরে তারা নুরুল আলমকে একদিকে নিয়ে মারধর করে ইয়াবাগুলো বের করে নেয় এবং মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার পর তারা নুরুল আলমকে চট্টগ্রামের দিকে আসা একটি নৈশ কোচে তুলে দেয়।”

সন্তোষ চাকমা বলেন, “তারা নুরুল আলমকে নৈশকোচে তুলে দেওয়ার কথা জানালেও কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এবং বাসের নাম অথবা অন্য কোন কিছু তারা জানাতে পারেনি। তবে তাদের ভাষ্য, ওই সময় বগুলা বাজারে ওই বাস থেকে দাড়ি, টুপিওয়ালা এক লোক নেমেছিল।

“ওই লোকটির সন্ধান পেলে আমরা বাসটি সম্পর্কে জানতে পারব, আবার বাসটি সরাসরি শনাক্ত করা গেলে নুরুল আলমের লাশ কীভাবে ফ্লাইওভারের নিচে এল, সবকিছু জানা যাবে।”

“সবমিলিয়ে এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে বাসটির সন্ধান পাওয়া জরুরি। বাসের সন্ধান পেলে পুরো হত্যাকান্ডের বিষয়টি পরিষ্কার হবে,” বলেন তিনি।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার কদমতলী-দেওয়ানহাট ফ্লাইওভারের নিচ থেকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়েসী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পকেটে পাওয়া একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে ওই যুবকের নাম নুরুল আলম এবং টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের তার বাড়ি বলে জানতে পারে পুলিশ।

লাশ উদ্ধারের পর ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলাটি ডবলমুরিং থানা থেকে অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বলেন, মামলা অধিগ্রহণের পর ওই দিন রাতে সীতাকুণ্ডের শীতলপুর বাজার থেকে রিয়াদকে গ্রেপ্তারের পর নুরুল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। একই দিন গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে ফারুককে এবং তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন বিকালে খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়।