আগামী রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ এবং বোর্ড সদস্য মহসীন কাজীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্পটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ফজলুল্লাহ বলেন, “১৯৮৮ সালের পর এই প্রকল্পের মাধ্যমেই আবার ফিরে আসে বিশ্ব ব্যাংক। এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নয় কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার এই প্রকল্প থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে পানি সরবরাহ শুরু হয়। রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।”
শোধনাগারের পানির মান প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “নতুন ধরনের আধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করে এটি করা হয়েছে। এর পানির মান অনেক ভালো।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, বোয়ালখালীর ভান্ডালজুরীতে ছয় কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার আরেকটি প্রকল্পের কাজ চলছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে।
“দক্ষিণ চট্টগ্রামে পানির অভাবে কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে তিন থেকে চার কোটি লিটার চাহিদা আছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এটি করা হচ্ছে। সেখানে আরো ১৫ থেকে ২০ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার প্ল্যান্ট করার মতো জমি রাখা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ১৫ থেকে ২০ কোটি লিটার পানি পাঠানোর জন্য জরিপ কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য আলাদা প্রকল্প করা হবে। সেখানে পানির সংকট আছে। এছাড়া ফেনী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যায়।
২০১৫ সালে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় হালদা নদীর তীরে মদুনাঘাট এলাকায়; আর ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে এই প্রকল্পের পানি বন্দর নগরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে।