সোমবার নির্বাচনের দিন বিকালে দ্বিতীয় দফায় সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা জানান বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান।
বেলা সোয়া তিনটার দিকে নগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুফিয়ান বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার নির্বাচনী এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। যেসব কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনে এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ সুফিয়ানের।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে যে অনিয়ম দেখছি তাতে ভোটের পরিবেশ নেই। এ অথর্ব নির্বাচন কমিশনের দ্বারা কোনোদিনও ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে না। এ নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া মানুষের ভোটাধিকার আদায় হবে না।”
বেলা ১টা পর্যন্ত ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত ভোট কাস্টিং যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে মনে করব কারচুপি হয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে দেখতে চাই কিভাবে ইভিএমে কারচুপি করে।”
এর আগে আরেকবার সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ছাত্রলী-যুবলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে জোর করে ভোট দেওয়া অভিযোগ তুলে ভোট স্থগিত করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান আবু সুফিয়ান।
অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানোর কথাও বলেন তিনি।
সকালে ভোট শুরুর পর একটি কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী।