মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচিতে পেঁয়াজ ছাড়া মাছ-মাংস, নুডুলস ও সবজিসহ নানা পদের খাবার রান্না করে দেখানো হয় এবং উপস্থিতদের তা খাওয়ানো হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া গৃহিনী রেশমী মল্লিক বলেন, “এখানে এসে পেঁয়াজ ছাড়া মাংস রান্না দেখলাম। খুব সুন্দর দেখতে হয়েছে। অসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের হাতে আমরা জিম্মি হতে চাই না।”
ছাত্র সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, “লাইনে দাঁড়িয়ে নুডলস খেলাম। খেতে ভালোই। এর আগে সিন্ডিকেটের পুতুলে থুথু দিয়েছি।”
কর্মসূচিতে পেঁয়াজ সিন্ডিকেটে জড়িত ‘সন্ত্রাসী’ লেখা একটি কুশপুতুলে ঘৃণা জানানোর পর সবাইকে দেওয়া হয় পেঁয়াজবিহীন খাবার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, বিশ্বে যখন বাংলাদেশের সুনাম বাড়ছে ঠিক তখনই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ষড়যন্ত্র করছে।
“আমরা নারী সমাজ রান্নাঘর থেকেই পেঁয়াজ প্রত্যাখ্যান করছি। যে কোনো মূল্যে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেব না। তাদের বলছি, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।”
“২০০ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ না কিনে পরিবারের শিশুদের জন্য দুধ কিনুন। বাচ্চাদের বিকাশে শরীরে পুষ্টি হবে।”
মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নীলু নাগ, সাবেক কাউন্সিলর মমতাজ খান, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন ধরসহ থানা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে পেঁয়াজ ছাড়া বিভিন্ন খাবার রান্না করেন বাবুর্চি মো. বাদশা।