ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটনা: বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম) নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তদন্ত শেষ হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2019, 02:04 PM
Updated : 15 Nov 2019, 02:04 PM

বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শুক্রবার রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে কমিটির প্রধান জানিয়েছেন।

নাসির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছয় পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার কারণসহ সব বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আটটি সুপারিশও দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ ও দায় নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে এই রেল কর্মকর্তা বলেন, শনিবার ঢাকায় রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিস্তারিত বলবেন।

তবে এ ঘটনায় তূর্ণা নিশীথার চালক ও গার্ডসহ তিনজনের অবহেলাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী করার কথা দুজনই আগে বলেছেন।

এবিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিপোর্ট আমার কাছ দিয়েছে। এটা আমি কাল ডিজি অফিসে দেব। তবে ফাইন্ডিংসগুলো কি তা এই মহূর্তে বলা যাবে না। ডিজি মহোদয় রিপোর্ট অ্যাপসেপ্ট করবেন। সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

“মন্ত্রী মহোদয় হয়তো সবগুলো রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে কথা বলবেন। আমাদের পক্ষে এটা বলা সম্ভব না।”

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ স্টেশনের আউটার ক্রসিংয়ে গত সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জনের প্রাণ যায়, আহত হন অর্ধশতাধিক।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা রাত ২টা ৪৮ মিনিটে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন পার হয়ে মন্দবাগ স্টেশনের কাছাকাছি গেলে ট্রেনটিকে আউটার সিগন্যালে থামার সংকেত দেওয়া হয়।

আর সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন পার হয়ে মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশ করার পথে ট্রেনটিকে প্রধান লাইন ছেড়ে ১ নম্বর লুপ লাইনে যাওয়ার সংকেত দেওয়া হয়।

রাত ২টা ৫৫ মিনিটে তূর্ণা নিশীথার চালক আউটার ও হোম সিগন্যাল অমান্য করে মন্দবাগ স্টেশনের প্রধান লাইনে প্রবেশের সময় প্রধান লাইন থেকে লুপ লাইনে ঢুকতে থাকা উদয়নের মাঝামাঝি আঘাত করে।

তাতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। তূর্ণা নিশীথার চালক তাহের উদ্দিন সিগন্যাল না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়।

এ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন একটি, বাংলাদেশ রেলওয়ে তিনটি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে একটি কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিল।

ওই ঘটনায় তূর্ণা নিশীথার চালক তাহের উদ্দিন, সহকারী চালক অনুপ দেব, পরিচালক (গার্ড) আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।