চট্টগ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণে মুমূর্ষু তরুণী

কাজ শেষে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2019, 06:50 AM
Updated : 4 July 2019, 06:50 AM

বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে (১৮) মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাত থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত তাকে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।

“তরুণী আজকে চোখ মেলে তাকিয়েছে। অল্প অল্প কথাও বলতে পারছে।”

পুলিশের ধারণা, এ ঘটনায় অটোরিকশার চালক এবং যাত্রীবেশী দুই দুর্বৃত্ত জড়িত।

নির্যাতিত তরুণী কোরিয়ান ইপিজেডের কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। চন্দনাইশের বাড়ি থেকেই তিনি প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন।

জ্ঞান ফেরার পর তরুণীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অটোরিকশায় যারা ছিল তারা অপরিচিত বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তাদের শারীরিক গঠনসহ কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। সেই তথ্য ধরেই আমরা কাজ করছি।”

তরুণীর কাছ থেকে তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি দুলাল বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনী এলাকায় এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন।

“ওই অটোরিকশায় চালক ছাড়া আরও দুইজন ছিল। তারাই ওই তরুণীকে কালার মার দিঘী সংলগ্ন চায়না রোডে নিয়ে যায়। এলাকাটি নির্জন। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে ধারণা করছি।”

ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে চাতরি চৌমুহনী ও চায়না রোডের সংযোগ অংশে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ।

“রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির আমাকে খবর দেয়।

“গিয়ে দেখি মেয়েটির মুর্মূষ অবস্থা, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাতেই দুই ব্যাগ রক্ত যোগাড় করে দেওয়া হয়। সকালেও রক্ত দেওয়া হয়েছে।”