ভুল প্রশ্নপত্র: আরও ৭ কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি

গত বছরের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নে ২০১৯ সালের এসএসসির প্রথম দিনে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ায় আরও সাত কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2019, 03:08 PM
Updated : 4 Feb 2019, 03:08 PM

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন নগরীর তিনটি ও কক্সবাজারের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র সচিবদের ভুলের এই ঘটনায় সোমবার সাতজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়। 

এ নিয়ে মোট আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হল।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহাবুব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রথমে সাতটি কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার খবর পেলেও প্রাথমিক তদন্তে আরও একটি কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি।

“আগে এক কেন্দ্র সচিবের পর সোমবার বাকি সাত কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্র সচিবরা হলেন-  চট্টগ্রাম নগরীর ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাহেদা আক্তার, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলের শাহেদুল কবির চৌধুরী, গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ের মো. রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজারের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আবুল হাশেম, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রোকেয়া খানম, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আমিনুল এহসান মানিক এবং কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মো. নাসির উদ্দিন।

তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন- খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও এফ এম ইউনুস, মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে গণিত বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হক, গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ে লে. জিএম মুশফিক বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষখ শফিকুল ইসলাম, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহ কেন্দ্র সচিব আব্দুল কাদের, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাতেমা জাহান, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী কেন্দ্র সচিব ইদ্রিস মিয়া এবং কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন।

তদন্ত অনুযায়ী, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাসের আলোকে প্রণীত প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।

এছাড়া ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দেড় হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জন ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা।

এবার বাংলা পরীক্ষা ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০১৯ তিনটি সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র অনুসারে হচ্ছে।

সারাদেশে শনিবার একযোগে শুরু এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২০১৯ সালের সিলেবাসে যাদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা তাদের মাঝে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।

এই ঘটনার পরদিন বোর্ড কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের চারটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

পরে তারা জানান, নিয়মিত-অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা থাকলেও চারটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত-অনিয়মিতদের জন্য আলাদা আলাদা আসন ব্যবস্থা না করার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

কেন্দ্র সচিবদের ‘ভুলের কারণে’ নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা গতবছরের আলোকে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে বলে দাবি করেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা।

এরপর চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব ওবায়দুল হককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইলকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।