শুক্রবার বিকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণা পাড়া এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান (৫৩) আইএফআইসি ব্যাংকের লালদীঘি শাখায় চাকরি কনে। ঝর্ণা পাড়ায় তার একটি ফার্মেসি আছে, যেখানে তিনি স্থানীয় লোকজনের ‘ডাক্তারিও’ করেন।
গ্রেপ্তার অপর দুইজন হলেন- মিজানের ছেলের দুই বন্ধু মোহাম্মদ হোসেন (২৫) ও আবদুল কাদের রবিন (২৪)।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এবং হামলার অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন ওই নারী।
এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ঝর্ণা পাড়া এলাকার এক অটোরিকশা চালকের স্ত্রী ২৭ বছর বয়সী ওই নারী ‘মেয়েলি সমস্যা’ নিয়ে বুধবার রাতে মিজানুরের ফার্মেসিতে যান। মিজানুর ওষুধের জন্য চারশ টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আবার ফার্মেসিতে যেতে বলেন।
“ওই নারী রাত ৯টার দিকে ফার্মেসিতে গেলে রোগী বেশি- এই অজুহাতে তাকে পরে আসতে বলেন ওই হাতুরে ডাক্তার। এরপর ওই নারী রাত ১১টার দিকে ফার্মেসিতে যান। মিজানুর তখন তাকে রোগীর বেডে শুইয়ে একটি ইনজেকশান দেয়। এরপর ওই নারীর চেতনা লোপ পেতে থাকে। মিজানুর তখন শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় বলে ওই নারীর অভিযোগ।
“ওই নারী বলছেন, মিনিট দশেক পর তার চেতনা কিছুটা ফেরে এবং তিনি শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন। এরপর তিনি জোর করে উঠে পড়েন এবং বাসায় গিয়ে স্বামীকে নিয়ে আসেন।”
ওসি বলেন, চেম্বারের ময়লা ফেলার ঝুড়ি থেকে ইনজেকশনের অ্যাম্পুলটি সংগ্রহ করে পাশের আরেকটি ফার্মেসিতে নিয়ে দেখান ওই নারীর স্বামী। সেখানে তাদের জানানো হয়, সেটি চেতনানাশক ইনজেকশন।
“মিজানুর পরে ওই মহিলার বাসায় গিয়ে শাসিয়ে আসে, যাতে তারা কাউকে কিছু না বলে। এরপর শুক্রবার দুপুরে মিজানুরের ছেলে আনিসুর রহমান দলবল নিয়ে ঝর্ণা পাড়ায় ওই নারীর বাসায় হামলা চালায়।”
তাদের মারধরে ওই নারীর দুই ভাই আহত হন। ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিজানুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
মিজানুরের ছেলে আনিসুর চট্টগ্রামের এমইএস কলেজে অনার্স পড়েন। কলেজের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েই তিনি হামলা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় মিজানুর বা তার পরিবারের ভাষ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।