বন্দরে মাদারীপুরের মানুষ চাকরি পেয়েছে ‘মেধা দিয়ে’

চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজের জেলা মাদারীপুরের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ নাকচ করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

সংসদ প্রতিবেদকচট্টগ্রাম ব্যুরো ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2017, 03:33 PM
Updated : 19 Nov 2017, 03:42 PM

তিনি বলেছেন, মেধার ভিত্তিতে ওই পদে চাকরি পেয়েছেন তার জেলার প্রার্থীরা।

চট্টগ্রাম বন্দরে সম্প্রতি লস্কর পদে নিয়োগে নৌমন্ত্রীর জেলা মাদারীপুরের বেশি চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পেয়েছে বলে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা ওঠে।

রোববার বন্দরে সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধন করতে এলে এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখেও পড়েন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান।

তিনি বলেন, “মাদারীপুরের ছয়-সাতজন আছে। পরীক্ষা দিয়ে পাস করে মাদারীপুরের প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছে। পোষ্য কৌটাসহ চট্টগ্রামের ৪৫ জনের চাকরি হয়েছে।”

এসময় মন্ত্রীর পাশে থাকা বন্দর চেয়ারম্যান খালেদ ইকবাল বলেন, “মাদারীপুরের যে ছয়-সাতজন নিয়োগ পেয়েছে, তারা ভালো ফল করে এসেছে। কারও সুপারিশে এখানে চাকরি হয় না।”

গত বৃহস্পতিবার বন্দরের লস্কর নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে শুরু হয় আলোচনা।

শাজাহান খান চট্টগ্রামে কথা বলার দিনই সংসদে বন্দরের নিয়োগের বিষয়টি তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের দুই সংসদ সদস্য জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল ও জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

বাদল বলেন, “লস্কর পদে ৯২ জনের মধ্যে মাত্র দুজন চট্টগ্রামের আর ৯০ জন অন্য একটি জেলার। যদি সব জেলায় ভাগ করে দেওয়া হত তাহলে চট্টগ্রামবাসী কিছু মনে করত না।”

বাবলু বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ হয় কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ চাকরি পায় না। ৯২ জন লস্করের দুজন মাত্র চট্টগ্রামের। চট্টগ্রামের মানুষের দাবি আছে, মেধা অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার। সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

চট্টগ্রামবাসীর ক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় বন্দর চেয়ারম্যান খালেদ ইকবাল বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর শুধু চট্টগ্রামের নয়, সারাদেশের, এ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়োগ পরীক্ষা কেন ঢাকায় হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিয়োগ পরীক্ষা এখানে হতে পারত। সরকারিভাবে বিধান আছে, আইবিএর মাধ্যমে পরীক্ষা হয় স্বচ্ছতার জন্য। সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।”

বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্থান না পাওয়ার কারণও দেখান তিনি।

“চট্টগ্রামেই নিতে পারলে ভাল হত। কিন্তু ৭৪ হাজার প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছিলাম। কারও পক্ষে এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।”