বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মাদক হেফাজতে রাখার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এসব সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Published : 17 Mar 2025, 09:11 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে ‘শৃঙ্খলাবিরোধী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া মাদক সেবন ও হেফাজতে রাখার অভিযোগে আরও ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও কারন দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিনারি কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক ও স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব মাহবুবুল আলমের স্বাক্ষর করা আলাদা আলাদা চিঠিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, “গত জুলাই-অগাস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তী সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে শোকজ করার পর তাদের জবাবের প্রেক্ষিতে স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় ব্যক্তিগত শুনানির ওপর আলোচনার প্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।”
যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৌফিকুর রহমান, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিজয় হোসেন ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আজাহারুল ইসলাম মুন্নাকে দুই বছর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে এবং ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া মেটারিয়াল সাইয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তাহসিন ইশতিয়াক ইফতি, যন্ত্র কৌশল বিভাগের সৌমিক জয়, যন্ত্রকৌশল বিভাগের আশিকুল ইসলামকে এক বছর করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এবং ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে মাহমুদুল হাসান জাহিদ (পুরকৌশল বিভাগ), মইনুল হক (মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং), তালহা জেবায়ের, রিফাত হোসাইন (ইইই), তোফাইয়া রাব্বি (যন্ত্রকৌশল), সাদিকুজ্জামন (পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং), তানভীর জনি (যন্ত্রকৌশল বিভাগ), আবদুর রহমান জিহাদকে (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা) ছাত্রাবাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে পুরকৌশল বিভাগের রাকিব উদ্দিনকে সতর্ক করা হয়েছে।
অন্যান্য চিঠিগুলোতে মাদক সেবন ও হেফাজতে রাখার অভিযোগে স্থাপত্য বিভাগের শাহরিয়ার মাহমুদ, রাকিবুল হাসান ইরান, শুভ্র চক্রবর্ত্তী, নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগের অরিন অপরুপ ঘোষ, আফনান রশিদ, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আসাদুল্লাহ হিল গালিব, মো. সিয়ামকে এক বছর করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এবং আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া মাদক হেফাজতে রাখার অভিযোগে আরও তিন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।