“আমরা অবশ্যই এখানে ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখব,” বলেন তিনি।
Published : 14 Dec 2024, 01:49 PM
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণে সিটি করপোরেশনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক সংলগ্ন পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়রের কাছে প্রশ্ন ছিল, দীর্ঘদিনেও পাহাড়তলি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়নি এবং বধ্যভূমিটি এখনো অরক্ষিত পরে আছে। মেয়র হিসেবে তিনি কি উদ্যোগ নেবেন?
জবাবে শাহাদাত বলেন, “এই বধ্যভূমি রক্ষিত করে, এখানে যাতে সর্ব সাধারণ আসতে পারে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
“আমরা অবশ্যই এখানে ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখব। এখানে অসংখ্য শহীদ, তাদের পরিবার আছে। তারা আজ অনুশোচনা করছে। আমরা আজকে তাদেরকে স্মরণ করছি না। কিন্তু তারা ওই সময়ের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। বুদ্ধিজীবীরাই দেশের মেরুদণ্ড। একটা শিক্ষাহীন দেশ করার জন্য সেদিন অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওই সময়কার যারা অধ্যাপক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তাদেরকে হত্যা করা হয়।
“এই দিনে আমরা মনে করি, আমাদের বর্তমানে যারা বুদ্ধিজীবীরা আছেন- তাদেরকে নিয়ে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য, মেধাবী রাষ্ট্র তৈরির জন্য যে আন্দোলন হয়েছে- সেই ধরনের মেধাবী জাতি আমাদের উপহার দিতে হবে।”
যতদিন মেয়র পদে থাকবেন, ততদিন অবশ্যই ইতিহাস সংরক্ষণের চেষ্টা করবেন জানিয়ে শাহাদাত বলেন, “আমরা একসময় চিটাগাং এ সাগরিকা স্টেডিয়াম করেছিলাম। তৎকালীন আমাদের আরাফাত রহমান কোকো এটার নাম দিয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম।
“বীরশ্রেষ্ঠদের নামগুলো আজকে বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেখানে আমাদের রাজনীতিবিদদের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের যে জায়গা সেটা তাদেরকে দিতে হবে। সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান তারা। প্রাণ দিয়েছিলেন তারা।”
‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মেয়র।
এর আগে সিটি মেয়র শাহাদাতের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।