তাতে সাড়া পাওয়া না গেলে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
Published : 12 Dec 2024, 01:13 PM
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো এলাকায় ময়লা-আবর্জনা দেখা গেলে সরাসরি সেখানকার পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজারকে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
আর তাতে সাড়া পাওয়া না গেলে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বন্দরনগরীর সদরঘাটে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মহল্লা কমিটি ও স্থানীয়দের বলেছি পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঠিকমত কাজ করছে কিনা, তা দেখবেন।
“নিজের শহর হিসেবে কিছু দায়িত্ব আপনারাও নেন। যেখানেই মনে করবেন ময়লা আবর্জনা আছে বা নালা-নর্দমা অপরিচ্ছন্ন আছে, সেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে সুপারভাইজারদের সরাসরি ফোন করবেন। যদি সাড়া না দেয়, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।”
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে পেশায় চিকিৎসক শাহাদাত বলেন, “কারণ রোগ একবার হয়ে গেলে তো চিকিৎসা নিতে হয় এবং কেউ শক সিনড্রোমে চলে গেলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
“কারো লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে ডেঙ্গু সেন্টারে আসতে পারে, আমাদের মেমন-২ হাসপাতালে। সেখানে আমরা ডেঙ্গুর এন্টিজেন টেস্ট করে দিই। সেখানে আমরা রোগীও রাখি।”
নগরীর বায়েজিদ এলাকায় টুম্পা নামের ১০ বছরের এক শিশুর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরে সাংবাদিকরা জানতে চান, চট্টগ্রামে আবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে কিনা।
জবাবে মেয়র শাহাদাত বলেন, “একজন শিশু মারা গেছে। ৩-৪ দিন ধরে জ্বর নিয়ে ছিল। তারা অবহেলা করে হাসপাতালে যায়নি। পরবর্তীতে যখন খুব সিরিয়াস….।
“এটা আমি বলছি, ২-৩ দিনের অধিক জ্বর থাকলে, কমপক্ষে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি। ডেঙ্গুর যে ভ্যারিয়েন্ট এখন, কসমোপলিটন যে ভ্যারিয়েন্ট আছে, সেটার কারণে এবার রোগী বেশি।”
তিনি বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের যে প্রচার সেটা চলতে থাকবে। যদি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারব।”
অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমিসহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।