চট্টগ্রামে র্যাবের আলাদা দুইটি অভিযানে প্রায় চার মন গাঁজাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, যিনি পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন।
সোমবার লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুইটি পিকাপ ভ্যান তল্লাশী করে ৭২ কেজি গাঁজাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর আরেকটি বাসা তল্লাশী করে আরও ৬৪ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিকাপ থেকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আলী হোসেন ওরফে খোরশেদ (২৭), মো. আমান উল্লাহ (২৬), মো. ইদ্রিস (৩৮), মোহাম্মদ হোসেন ওরফে রাশেক শীল (৩৫), মো. আব্দুল জব্বার (৩৮). নুরুল কাদের ভূট্টো (২৫), মনির উদ্দিন (৩৫)।
আর লোহাগাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. ফোরকান (৪০) ও এহসানুল আলমকে (৫৫)।
র্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের অভিযানে ৭২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তারদের মূল হোতা আলী হোসেন, যিনি মূলত ভারতীয় নাগরিক। তার আসল নাম রাকেশ শীল। ১৯৯৭ সালে ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে নিজের পরিচয় গোপন করে লোহাগাড়ার এক নারীকে বিয়ে করে মো. হোসেন নামে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র নেন।
র্যাব জানায়, ভারতীয় মাদক কারবারীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে রাকেশ বাংলাদেশে মাদক নিয়ে আসেন। নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় নিজে বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক আস্তানা তৈরি করেছেন। নিজের লোক দিয়ে মাদক বিক্রি করেন।
মেজর মেহেদী জানান, রাকেশ কক্সবাজারেও মাদক সরবরাহ করেন।
তিনি বলেন, “মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি রাকেশ হোসাইন নামে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে তার আস্তানায় অভিযান হলেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।”
রাকেশের বিষয়ে র্যাব আরও জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দা রাকেশ বাবা-মার মৃত্যুর পর ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রামে এসে বন্দরটিলা এলাকায় প্রথমে সেলুনে কাজ নেন। সেখান থেকে গাড়ির হেলপারের কাজ করেন। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
লোহাগাড়া উপজেলায় বিয়ে করলেও রাকেশ পরিবার নিয়ে থাকেন সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে।
এদিকে র্যাব-৭ এর আলাদা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লোহাগাড়া উপজেলার আলাদা একটি অভিযানে র্যাব সদস্যরা একটি বাসায় অভিযান চালায়। সেখানে ৬৪ কেজি গাঁজা, ৩২৩ বোতন ফেন্সিডিল ও ছয়টি বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ওই বাসা থেকে গ্রেপ্তার ফোরকান তালিকাভুক্ত মাদক কারবারী। তিনি ভারতীয় কিছু মাদক কারবারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন।