ইনিংস বড় করতে না পারায় হতাশ তামিম ইকবাল

ইংল্যান্ডে সম্ভাব্য শেষ সফরে ভালো কিছু করতে না পারায়ও আক্ষেপ করলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2023, 07:05 AM
Updated : 15 May 2023, 07:05 AM

দল জয়ের ধারায় থাকলেও প্রবল চাপে ছিলেন তামিম ইকবাল। টানা ৯ ইনিংসে ছিল না কোনো ফিফটি। সেটি টানা ১০ ইনিংস হতে পারত অনায়াসেই। কিন্তু ১ রানে তিনি বেঁচে যান সহজ ক্যাচ দিয়ে। নতুন জীবন কাজে লাগিয়ে ফিফটির দেখাও পান। তবে ইনিংসটাকে টেনে নিতে পারেননি সেঞ্চুরিতে। রূপ দিতে পারেননি পার্থক্য গড়ার মতো কোনো ইনিংসে। ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কণ্ঠে ফুটে উঠল আক্ষেপ। 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে চেমসফোর্ডে ১ রানেই স্লিপে ক্যাচ দেন তামিম। সহজ সেই ক্যাচ ফেলে দেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। পরে তামিম ফিফটি করেন ৬১ বলে। তবে আরেক প্রান্তে কেউ লম্বা সময় টিকতে না পারায় গড়ে ওঠেনি বড় কোনো জুটি। 

চার উইকেট পড়ার পর মুশফিকুর রহিমর সঙ্গে তামিমের জুটি গড়ে উঠছিল। শেষ স্বীকৃত জুটি হিসেবে তাদের কাছে দলের চাওয়া ছিল লম্বা সময় ব্যাট করা। কিন্তু ৩৪তম ওভারে বাজে এক শটে তামিম ফেরেন দলকে বিপদে ঠেলে। আউট হয়ে যান ৮২ বলে ৬৯ রান করে। 

ফিফটি পেলেও তাই ঘুচল না তার সেঞ্চুরি খরা। টানা ২১ ইনিংসে তিন অঙ্কের স্বাদ পান না তিনি। সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। 

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত নাটকীয়ভাবে ৫ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নেয়। তবে অধিনায়ক ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করলেন নিজের ব্যাটিংয়ে কাজ শেষ করতে না পারায়।

“আমি একটু হতাশ যে আমার চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। আমাদের যে অবস্থা ছিল, তাতে আরও টিকে থাকার দরকার ছিল আমার। তবে লম্বা ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন আসবেই। সবশেষ দুই-তিন সিরিজে আমি নিজের সেরা অবস্থায় নেই। তবে সবসময়ই বিশ্বাস ছিল যে, স্রেফ একটি ম্যাচেরই দূরত্ব (ফর্মে ফেরা)। আজকে বড় ইনিংস খেলতে পারলে খুবই খুশি হতাম।” 

শেষ ম্যাচে ফিফটি পেলেও নিজের পারফরম্যান্সের দিক থেকে সিরিজটি হতাশারই ছিল তার। আক্ষেপ আছে তার আরেকটি দিক থেকেও। ইংল্যান্ডে এটিই হতে পারে তার সবশেষ সফর। এই দেশে তার স্মরণীয় কিছু সাফল্য আছে। ২০১০ সালের বাংলাদেশের হয়ে দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরি তিনি করেছিলেন। যা তাকে এনে দিয়েছিল উইজডেন বর্ষসেরার সম্মান। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি উপহার দেন তিনি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ৯৫। এবারও দারুণ কিছু করার আশা নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন বলে জানালেন তামিম। 

“আমি সিরিজ শুরুর আগেই চিন্তা করছিলাম… আমাদের সূচিতে পরের তিন-চার বছরে এখানে আর কিছু নেই। এবার তাই এখানে স্পেশাল কিছু করার আশা করেছিলাম। কারণ এখানে যখন প্রথম এসেছিলাম, স্পেশাল কিছুই করেছিলাম। এটা আমার শেষ ছিল, বিশেষ কিছু করতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যনজকভাবে তা পারিনি। তবে আজকে অন্তত কিছু রান করতে পেরে ভালো লাগছে যে এই স্মৃতি অন্তত থাকবে।”