নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছিল স্টোকস: টেইলর

শেষ পর্যন্ত কেন তা হয়নি, সেটিও তুলে ধরেছেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক এই ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2022, 03:36 PM
Updated : 15 August 2022, 03:36 PM

ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এরই মধ্যে চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছেন বেন স্টোকস। ইংলিশদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। আরও কত না দুর্দান্ত জয় এনে দিয়েছেন দলকে। গড়েছেন নানা কীর্তি। তবে ইংল্যান্ড নয়, জন্মভূমি নিউ জিল্যান্ডের হয়েই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারতেন তিনি! কিন্তু নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় পূরণ হয়নি তার সেই ইচ্ছা।

নিজের আত্মজীবনী ‘রস টেইলর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’-এ এমন তথ্যই তুলে ধরেছেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান রস টেইলর।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া টেইলর ২০১০ সালে ইংলিশ কাউন্টি দল ডারহামে স্টোকসের সঙ্গে খেলতেন। সেই সময়ই তিনি স্টোকসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চায় কি না। তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা না রাখা স্টোকসও আগ্রহ দেখান।

টেইলরের বইয়ের কিছু অংশ সোমবার প্রকাশ করেছে নিউ জিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘স্টাফ।’ সেখানেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন ৩৮ বছর বয়সী টেইলর।

“তখন সে ছিল ১৮ কি ১৯ বছরের একজন কিউই। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম সে নিউ জিল্যান্ডে এসে খেলতে চায় কি-না। সে আগ্রহী ছিল। তাই আমি নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী জাস্টিন ভনকে মেসেজ দিয়ে বললাম, স্টোকস নামের এই ছেলেটা সত্যিই ভালো তরুণ ক্রিকেটার এবং নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলতে আগ্রহী।”

কিন্তু ভনের প্রতিক্রিয়া আশাব্যঞ্জক ছিল না। জাতীয় দলের পরিবর্তে স্টোকসকে আগে নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করতে বলেন তিনি।

“ভন উত্তরে লিখেছিল, সে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে শুরু করতে পারে, তারপর দেখব কী হয়। আমি তাকে (ভন) পরে বললাম, আমরা তাকে আরও ভালো প্রস্তাব দিতে পারি। কারণ আবার তৃণমূল থেকে শুরু করতে হলে সে আগ্রহী হবে না। শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।”

কিউই বাবা-মার সন্তান স্টোকসের জন্ম ক্রাইস্টচার্চে। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ছিলেন নিউ জিল্যান্ডেই। পরে তার বাবা ও সাবেক রাগবি খেলোয়াড় জেরার্ড স্টোকসের চাকরির সুবাদে তারা চলে আসেন ইংল্যান্ডে। সেখানেই স্টোকস গড়ে নেন নিজের ক্যারিয়ার।

টেইলর বললেন, নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলতে খুবই আগ্রহী ছিলেন স্টোকস।

“বেন নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলতে খুব আন্তরিক ছিল। কিন্তু এনজেডসিকে দ্রুত কাজ করতে হতো এবং তাকে আশ্বাস দিতে হতো, যেটা স্পষ্টতই করতে প্রস্তুত ছিলেন না ভন।”

২০ বছর বয়সে ২০১১ সালে ওয়ানডে দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্টোকসের। ওই বছরই খেলেন প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ সিরিজে।

যাদের হয়ে খেলতে পারতেন, সেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি হয়ে যান ইংল্যান্ডের নায়ক। লর্ডসের ফাইনালে তার অপরাজিত ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদেই ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখানেও ‘টাই’ হওয়ার পর বাউন্ডারির সংখ্যায় প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশরা। ফাইনালের সেরার পুরস্কার জেতেন স্টোকস।

ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক স্টোকস সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন।