বোল্টের পথ অনুসরণ করবে অনেকেই: পন্টিং

বোর্ডগুলোকে এমন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2022, 02:48 PM
Updated : 17 August 2022, 02:48 PM

নতুন এক চ‍্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট বোর্ডগুলো। অনেক আলোচনার পর নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি থেকে ট্রেন্ট বোল্টের সরে দাঁড়ানো সেই আভাসই দিচ্ছে। রিকি পন্টিংয়ের শঙ্কা বোল্টের পথ অনুসরণ করতে পারেন অনেকে। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির মতে, চুক্তি থেকে ক্রিকেটারদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার এমন পরিস্থিতি এলে তা সামাল দিতে হবে বোর্ডগুলোকেই।

মূলত, পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে ও বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় বাধাহীনভাবে খেলতে এই সিদ্ধান্ত নেন বোল্ট।

কেন্দ্রীয় চুক্তি ও ঘরোয়া ক্রিকেটের চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের সাধারণত জাতীয় দলের জন্য খুব বেশি বিবেচনা করে না নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। নিউ জিল্যান্ডের চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অবশ্য খেলবেন বোল্ট। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাকে পাওয়া যাবে। এরপর থেকেই জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

বোল্টের এমন সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ার আলোচনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা। আইসিসি রিভিউতে এ নিয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন পন্টিংও।

অস্ট্রেলিয়ার দুটি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মতে, টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাসা সূচির কারণে এমন সিদ্ধান্ত এখন ক্রিকেটার জন্য হয়ে উঠেছে আবশ্যিক।

“বিশ্বজুড়ে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যে পরিমাণে হচ্ছে, আমরা মনে হয় এটা এখন অনিবার্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পুরো সূচিতে খেলা ছেলেদের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে।”

“ট্রেন্ট বোল্ট এবং নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটকে কোনো অসম্মান না জানিয়েই বলছি, আমি নিশ্চিত, এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলির কোনো একটিতে সে কী পেতে পারে, সম্ভবত তারই প্রতিফলন নিউ জিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি। সে ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। তাকে তার পরিবার নিয়ে এবং এই মুহূর্তে এই খেলার আর্থিক দিক নিয়ে ভাবতে হবে, সম্ভবত আগের চেয়ে বেশি।”

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে তিনশ টেস্ট উইকেট শিকারি মাত্র চার বোলারের একজন বোল্ট। ৭৮ টেস্টে তার শিকার ৩১৭ উইকেট। পাশাপাশি ৯৩ ওয়ানডেতে উইকেট ১৬৯ ও ৪৪ টি-টোয়েন্টিতে ৬২টি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের ইতিহাসের চতুর্থ সফলতম বোলার তিনি।

আইসিসি ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে তিনি বিশ্বের এক নম্বর বোলার, টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে আছেন ১১ নম্বরে। গত এক দশক ধরে নিউ জিল্যান্ডের মূল স্ট্রাইক বোলার তিনি। বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে যে তার চাহিদা প্রচুর থাকবে, তা নিয়ে সংশয় নেই পন্টিংয়ের।

“সব সংস্করণেই সে তার সেরা ফর্মে আছে। যেখানে যাক, যে সংস্করণ খেলার জন্য বেছে নিক, যদি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় যেটা সে বলেছে, তাহলে তার চাহিদা থাকবে অনেক বেশি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

তবে পন্টিং মনে করছেন, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে বোর্ডগুলোকে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

“আমার মনে হয়, এটা নির্ভর করছে ট্রেন্টের মতো ইস‍্যু জাতীয় দলগুলো কীভাবে সামাল দেবে তার ওপর… সে বলেছিল, সে অনুভব করছে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে কতটা খেলতে পারবে, তা নিয়ে বিপত্তি বাঁধতে পারে, তবে আমার তা মনে হয় না।”