মধ্য প্রদেশকে রঞ্জি জিতিয়ে আইপিএলে কোচ হলেন চন্দ্রকান্ত

প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধান কোচ পেল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2022, 04:14 PM
Updated : 17 August 2022, 04:14 PM

ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বিদায়ের পর নতুন প্রধান কোচ বেছে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যান চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে, যার কোচিংয়ে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে মধ্য প্রদেশ।

আইপিএলের গত আসরে কলকাতায় তিন বছরের কোচিং অধ্যায়ের ইতি টেনে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন ম্যাককালাম। সাবেক নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানের শূন্য পদে ৬০ বছর বয়সী চন্দ্রকান্তকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বুধবার জানায় কলকাতা।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ভারতের হয়ে চন্দ্রকান্ত খেলেন পাঁচটি টেস্ট ও ৩৬টি ওয়ানডে। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফল কোচ তিনি। মুম্বাইকে ভারতের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা রঞ্জি ট্রফি তিনি জেতান ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০১৫-১৬ মৌসুমে।

তার সবচেয়ে বড় সাফল্য সম্ভবত নামে-ভারে অনেক পিছিয়ে থাকা মধ্য প্রদেশকে গত মৌসুমে রঞ্জি জেতানো। ২৩ বছর আগে মধ্য প্রদেশের অধিনায়ক হিসেবে রঞ্জির ফাইনালে হারলেও কোচ হিসেবে ঠিকই পেয়ে যান শিরোপার স্বাদ।

২০১৭-১৮ মৌসুমে চন্দ্রকান্তের কোচিংয়ে প্রথমবার রঞ্জি জিতেছিল বিদর্ভও। তার হাত ধরেই দলটি পরের মৌসুমে ধরে রাখে শিরোপা। ২০১১-১২ মৌসুমে রাজস্থান যখন রঞ্জি ট্রফি ধরে রেখেছিল, তখন তাদের ক্রিকেট পরিচালকও ছিলেন তিনি।

এবারই প্রথম আইপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কাজ করবেন চন্দ্রকান্ত। কলকাতার প্রথম ভারতীয় প্রধান কোচ তিনি। দলটিতে তিনি সহকারী কোচ হিসেবে পাচ্ছেন অভিষেক নায়ারকে। বোলিং কোচের দায়িত্বে আছেন ভারত অরুন।

ভারতের বিভিন্ন ঘরোয়া দলে কাজের বাইরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি ও ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন চন্দ্রকান্ত। ২০১০ যুব বিশ্বকাপে তিনি ভারতের প্রধান কোচ ছিলেন। সেই দলে ছিলেন লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, হার্শাল প্যাটেল, মানদিপ সিং ও জয়দেব উনাদকাটের মতো খেলোয়াড়রা।

আইপিএলে ২০১২ ও ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা পরবর্তীতে শিরোপার সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল ২০২১ সালের আসরে। সেবার ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরেছিল তারা। গত মৌসুমে তারা প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হয়। ছয় জয় ও আট হারে ১০ দলের মধ্যে টেবিলে সাতে থেকে আসর শেষ করে কলকাতা।