দুর্দান্ত শেষ ওভারের পেছনের গল্প বললেন জামাল

কীভাবে শেষ ওভারের চ্যালেঞ্জে উতরে গেলেন, জানালেন পাকিস্তানের এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2022, 10:47 AM
Updated : 29 Sept 2022, 10:47 AM

শেষ ওভারে বোলিং করা যে কারোর জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ। অভিষিক্ত এক জনের জন্য তা আরও বড়। দারুণ সব ওয়াইড ইয়র্কারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই অগ্নিপরীক্ষায় জিতলেন আমের জামাল। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে জেতালেন পাকিস্তানকে। পরে সেই ওভারের গল্প শোনালেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।  

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে বুধবার পাকিস্তানের ৬ রানে জয়ের নায়ক ছিলেন জামাল। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই শেষ ওভারে ১৫ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ইংলিশরা।

পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ার খুব বেশি সমৃদ্ধ নয় জামালের। স্রেফ ১৩টি করে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা মাত্র ৯ ম্যাচের। তবে জাতীয় দলে নিজের প্রথম ম্যাচেই নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখান তিনি। দেন অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান। 

ম্যাচ শেষে পিসিবির ভিডিও বার্তায় ২৬ বছর বয়সী জামাল বলেছেন, বাবর আজমের কথা মতো পরিকল্পনায় অটল থেকেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। 

“তিনি (বাবর) বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনায় থাকব, আর সেটা তোমার সিদ্ধান্ত। আমি বলেছি, ‘ওয়াইড ইয়র্কার কেমন হয়।’ তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমি পারব কিনা। আমি বলি, ‘অবশ্যই।’ তিনি পরে বলেন, যদি ওয়াইডও হয়, পরিকল্পনা থেকে না সরতে। আর আমি সেটাই করেছি।” 

সেই পরিকল্পনা নিয়েই থিতু ব্যাটসম্যান মইন আলির মুখোমুখি হন জামাল। প্রথম দুই বলে কোনো রানই নিতে দেননি এই পেসার। ওয়াইড দেওয়ার পরে হজম করেন ছক্কা। শেষ তিন বলে অবশ্য দারুণ বোলিংয়ে কেবল ১ রান দেন তিনি।

শেষ ওভার থেকে ৮ রান নিতে পারে ইংল্যান্ড। জামাল বললেন, ছক্কা খাওয়ার পর তাকে ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন অধিনায়ক বাবর। 

“প্রথম বল করার সময় চাপ ছিল। যখন বলটি করে ফেললাম, এরপর আর কোনো চাপ ছিল না। (তৃতীয় বলে) ওয়াইডটি হয়েছিল শিশিরের কারণে, বল ধরতে সমস্যা হচ্ছিল তখন। পরের বলে ছক্কা হয়েছে কারণ, বল আমার হাত থেকে পিছলে বেরিয়ে যায়, ঠিকমত ধরতে পারিনি।” 

“বাবর ভাই আমার কাছে এলেন এবং বললেন, ‘চিন্তার কিছু নেই। তুমি পারবে। কেবল তুমিই পারবে…’ এটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয়।” 

আগের দুই ওভারে বোলারদের উপর বেশ চড়াও হন মইন। মোহাম্মদ ওয়াসিমের পর হারিস রউফকে ওড়ান ছক্কায়। সে সময়ই জামাল বুঝে যান কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তার সামনে। 

“আগের ওভারটি যখন দেখছিলাম, যেখানে হারিস একটি ছক্কা ও চার হজম করে, আমি পরিকল্পনা করছিলাম কীভাবে দলের জয় নিশ্চিত করা যায়। প্রথমত, স্নায়ু চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখি। কারণ ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে আমার চেয়ে অভিজ্ঞ হারিস বাউন্ডারি হজম করছে। উপলব্ধি করলাম, কাজটা আমাকে করতে হবে। আমি এগিয়ে যাই এবং নিজেকে বলি, যা-ই হোক না কেন, সবকিছু উজাড় করে দেব এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।”