টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
আসন্ন বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়ে প্রতিযোগিতাটিতে নিজের কিছু সুখকর মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন আফ্রিদি।
Published : 24 May 2024, 05:15 PM
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের সেরা ক্রিকেটার ও প্রতিযোগিতাটিতে পাকিস্তানের একমাত্র শিরোপা জয়ের নায়ক শাহিদ আফ্রিদিকে আসছে বৈশ্বিক আসরের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে। বিশেষ এই সম্মান পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আফ্রিদিকে দূত করার কথা শুক্রবার জানিয়েছে আইসিসি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে দূত হিসেবে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল, ভারতের তারকা অলরাউন্ডার ইউভরাজ সিং ও কিংবদন্তি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে অল্পের জন্য শিরোপা জিততে পারেনি পাকিস্তান। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। তবে আসর জুড়ে ব্যক্তিগত উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন আফ্রিদি। লেগ স্পিনে সাত ম্যাচে ১২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৯১ রান করেছিলেন তিনি।
পরের আসরেই শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারানোর পথেও বড় অবদান রাখেন আফ্রিদি। বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পর রান তাড়ায় ৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।
সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালেও উজ্জ্বল ছিলেন আফ্রিদি। ৩৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পর বোলিংয়ে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এই দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
আসন্ন বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়ে সেই সুখকর মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন আফ্রিদি।
“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি প্রতিযোগিতা, যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। উদ্বোধনী আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা পর্যন্ত, আমার ক্যারিয়ারের প্রিয় কিছু ঝলক এই মঞ্চে খেলার মাধ্যমে এসেছে।”
“সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিধি ও শক্তি বেড়েছে। এবারের আসরের অংশ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত, যেখানে আমরা আগের চেয়ে আরও বেশি দল, আরও বেশি ম্যাচ এবং আরও নাটকীয় লড়াই দেখতে পাব।”
আগামী ১ জুন শুরু হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে হবে এর শিরোপা লড়াই। প্রতিযোগিতারটির অংশ হতে পেরে ভীষণ খুশি আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বললেন, ভারত-পাকিস্তানের লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকার কথা।
“বিশেষ করে, ৯ জুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী হতে আমি মুখিয়ে আছি। এটি খেলাধুলার বড় দ্বৈরথগুলোর একটি। দুর্দান্ত দুটি দলের অসাধারণ এই লড়াইয়ের জন্য নিউ ইয়র্ক উপযুক্ত মঞ্চ হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী ৬ জুন শুরু হবে পাকিস্তানের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।