ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
Published : 12 Oct 2024, 06:47 PM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ২৯৭/৬
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৪/৭
১৩৩ রানের হার
বোলারদের হতাশার দিনে ব্যাটসম্যানরাও তেমন কিছু করতে পারলেন না। ভারতের ২৯৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ থামল ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে। শেষ ম্যাচে ১৩৩ রানে জিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরাজয়। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদেরকে ১০৪ রানে হারিয়েছিল ভারত। আর ভারতের এটি রানের হিসেবে তৃতীয় বড় জয়।
বাংলাদেশকে দেড়শ পার করানোর কারিগর তাওহিদ হৃদয়। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিতে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস।
ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে ৯ বলে ৮ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রাভি বিষ্ণই। মায়াঙ্ক ইয়াদাভ ধরেন ২ শিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২০ ওভারে ২৯৭/৬ (স্যামসন ১১১, আভিশেক ৪, সুরিয়াকুমার ৭৫, পারাগ ৩৪, পান্ডিয়া ৪৭, রিঙ্কু ৮*, নিতিশ ০, সুন্দার ১*; মেহেদি ৪-০-৪৫-০, তাসকিন ৪-০-৫১-১, তানজিম ৪-০-৬৬-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-৫২-১, রিশাদ ২-০-৪৬-০, মাহমুদউল্লাহ ২-০-২৬-১)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৪/৭ (পারভেজ ০, তানজিদ ১৫, শান্ত ১৪, লিটন ৪২, হৃদয় ৬৩*, মাহমুদউল্লাহ ৮, মেহেদি ৩, রিশাদ ০, তানজিম ৮*; মায়াঙ্ক ৪-০-৩২-২, পান্ডিয়া ৩-০-৩২-০, সুন্দার ১-০-৪-১, নিতিশ ৩-০-৩১-১, বিষ্ণই ৪-১-৩০-৩, ভারুন ৪-০-২৩-০, আভিশেক ১-০-৮-০)
১০ ইনিংস পর হৃদয়ের ফিফটি
অন্যদের ব্যর্থতার মাঝে একপ্রান্ত ধরে রেখে ফিফটি করলেন তাওহিদ হৃদয়। রাভি বিষ্ণইর বল ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের তৃতীয় পঞ্চাশ পূর্ণ করলেন তরুণ ব্যাটসম্যান, ৩৫ বলে।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫০ রান। হৃদয় ৩৭ বলে ৫৬ ও তানজিম ১ বলে ১ রানে অপরাজিত।
খালি হাতে ফিরলেন রিশাদ
মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মেহেদি হাসানের মতো করেই যেন আউট হলেন রিশাদ হোসেন। রাভি বিষ্ণইর বল ছক্কা মারার চেষ্টায় লং অফে তিলাক ভার্মার হাতে ধরা পড়লেন ৪ বলে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হওয়া রিশাদ।
নতুন ব্যাটসম্যান তানজিম হাসান।
১৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪০ রান।
অল্পেই ফিরলেন মেহেদি
কিছুই করতে পারলেন না শেখ মেহেদি হাসান। নিতিশ কুমার রেড্ডির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৯ বলে ৩ রান করা মেহেদি।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৮ রান। নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন। ৩৩ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশের ম্যাচে রানের রেকর্ড
ভারতের রেকর্ডগড়া ২৯৭ রানের পর ১৫ ওভারে ১৩৩ রান করেছে বাংলাদেশ। দুই দল মিলে এখন পর্যন্ত ম্যাচে মোট সংগ্রহ ৪৩০ রান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ খেলেছে এমন ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান টপকে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হয়েছিল মোট ৪২৯ রান।
সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫১৭ রান দেখা গেছে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে।
শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ৯ বলে ৮
১৫তম ওভারে মায়াঙ্ক ইয়াদাবের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেন মাহমুদউল্লাহ। পরের বল ছক্কা মারার চেষ্টা করলেন বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা ব্যাটসম্যান। কিন্তু দূরত্ব পার করতে পারলেন না। লং অনে সহজ ক্যাচ নিলেন রিয়ান পারাগ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেষ ম্যাচে এক চারে ৯ বলে ৮ রান করে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শেখ মেহেদি হাসান। ৩০ বলে ৪১ রানে অপরাজিত তাওহিদ হৃদয়।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৩ রান। শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ১৬৫ রান। অর্থাৎ প্রতি ওভারে করতে হবে ৩৩ রান করে।
লিটনকে ফেরালেন বিষ্ণই
নিজের ২ হাজার ও জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হওয়ার পর আর টিকতে পারলেন না লিটন কুমার দাস। রাভি বিষ্ণইর বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়লেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
৮ চারে ২৫ বলে ৪২ রান করেন লিটন।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১২ রান। ২২ বলে ৩১ রানে অপরাজিত তাওহিদ হৃদয়।
লিটন-হৃদয় জুটির পঞ্চাশ
১২তম ওভারে রাভি বিষ্ণইর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করলেন তাওহিদ হৃদয়। শর্ট থার্ড ম্যানে বল ধরতে পারলেন না মায়াঙ্ক ইয়াদাভ। বল চলে গেলো সীমানায়। ৩৫ বলে পূর্ণ হলো লিটন কুমার দাসের সঙ্গে হৃদয়ের চতুর্থ উইকেট জুটির ৫০ রান।
লিটনের ২ হাজার
হার্দিক পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারি নিচু হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন লিটন কুমার দাস। ৩৮ থেকে তিনি পৌঁছে গেলেন ৪২ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণ হলো তার ২ হাজার রান।
বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন লিটন। তার আগে ২ হাজার রান করা অন্য দুজন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। লিটন ২৩ বলে ৪২ ও তাওহিদ হৃদয় ২০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত।
মাঝপথে ৩ উইকেটে ৯৪
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৪ রান। বাকি ১০ ওভারে প্রয়োজন আরও ২০৪ রান।
লিটন কুমার দাস ২১ বলে ৩৯ ও তাওহিদ হৃদয় ১৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ২৮ বলে ৩৫ রান।
রিভার্স সুইপে শান্তর বিদায়
রাভি বিষ্ণইর লেগ স্টাম্পে করা ডেলিভারি রিভার্স সুইপের চেষ্টায় ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটের উল্টোপাশে লেগে বল উঠে গেল ওপরে। সহজ ক্যাচ নিলেন সাঞ্জু স্যামসন।
একটি করে চার-ছক্কায় ১১ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।
৫ ওভারে বাংলাদেশের পঞ্চাশ
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসা নিতিশ কুমার রেড্ডির প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেন লিটন কুমার দাস। এক বল ডট দিয়ে শেষ চার ডেলিভারি একই ঠিকানায় পাঠালেন বাংলাদেশের উইকেটক্ষক-ব্যাটসম্যান।
২০ রানের ওভারের সৌজন্যে ৫ ওভারে পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের।
৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৯ রান। লিটন ৯ বলে ২২ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত।
তামিম-তানজিদের পর পারভেজ
মায়াঙ্ক ইয়াদাভের প্রথম বলেই আউট হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন পারভেজ হোসেন। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান তিনি।
এর আগে ২০১৮ সালে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তামিম ইকবাল এবং সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন তানজিদ হাসান।
আর ভারতের চতুর্থ বোলার হিসেবে ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট নিলেন মায়াঙ্ক। তার আগে ভুবনেশ্বর কুমার (তিন বার), হার্দিক পান্ডিয়া ও আর্শদিপ সিং গড়েন এই কীর্তি।
টিকলেন না তানজিদ
জীবন পেয়েও কিছু করতে পারলেন না তানজিদ হাসান। চতুর্থ ওভারে স্পিন আক্রমণে আসতেই প্রথম বলে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন বাঁহাতি ওপেনার। ওয়াশিংটন সুন্দারের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ভারুন চক্রবর্তীর হাতে ক্যাচ দিলেন ১২ বলে ১৫ রান করা তানজিদ।
৩.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫ রান। ৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত। নতুন ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।
১০ বা তার বেশি রানের ওভার ১৮টি
প্রথম ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করেন শেখ মেহেদি হাসান। এরপর নবম ওভারে আক্রমণে ফিরে তিনি দেন ৯ রান। ভারতের পুরো ইনিংসে শুধু এই দুটিই ছিল ১০-র কম রান খরচ করা ওভার।
বাকি ১৮ ওভার থেকেই অন্তত ১০ রান করেছে ভারত। এর মধ্যে রিশাদ হোসেনের করা দশম ওভারে পাঁচ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩০ রান নেন সাঞ্জু স্যামসন।
বল বাই বল তথ্য থাকা ম্যাচগুলোর মধ্যে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ১০ বা তার বেশি রানের ওভারের রেকর্ড এটি। এর আগে ১৭টি ১০ বা তার বেশি রানের ওভার দেখা গেছে তিনবার।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে নেওয়া ছয় বোলারের মধ্যে পাঁচজন খরচ করেন ৪০ বা তার বেশি রান। এটিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির রেকর্ড। এর আগে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ বোলার ভিন্ন তিন ম্যাচে খরচ করেন ৪০ বা তার বেশি রান।
জীবন পেলেন তানজিদ
দ্বিতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার চতুর্থ বাউন্ডারি মারলেন তানজিদ হাসান। পরের বল আবারও বড় শটের খোঁজে তিনি ক্যাচ তুলে দিলেন ডিপ মিড উইকেটে। কিন্তু সহজ সুযোগ নিতে পারলেন না ওয়াশিংটন সুন্দার। ৮ রানে বেঁচে গেলেন তানজিদ।
২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৭ রান।
প্রথম বলেই পারভেজের বিদায়
প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন পারভেজ হোসেন। মায়াঙ্ক ইয়াদাভের গতিময় শর্ট বলে যেন দেখতেই পাননি বাঁহাতি ওপেনার। বেশ দেরিতে পুল করতে গিয়ে কানায় লেগে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন তিনি। স্লিপ সহজ ক্যাচ নেন রিয়ান পারাগ।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক প্রান্ত ওপেনার তানজিদ হাসান। প্রথম দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামা লিটন কুমার দাসকে হয়তো দেখা যাবে চার নম্বরে।
তানজিমের বিব্রতকর রেকর্ড
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই আভিশেক শার্মার উইকেট নিয়েছিলেন তানজিম হাসান। এরপর আর সময়টা ভালো কাটেনি তরুণ পেসারের। শেষ ওভারে আরও ২ উইকেট নিলেও সব মিলিয়ে ৪ ওভারে তার খরচ ৬৬ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রুবেল হোসেন ও ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাশরাফি বিন মুর্তজা খরচ করেছিলেন ৬৩ রান।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি রান খরচের নজির আছে আর দুটি। সবশেষ বিপিএলে মুশফিক হাসান ৪ ওভারে ৭২ ও আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে দেন ৬৯ রান।
ভারতের বাউন্ডারির রেকর্ড
বাংলাদেশের বোলারদের বলে বেধড়ক পিটিয়ে করে ২৫টি চারের সঙ্গে ২২টি ছক্কা মেরেছেন ভারতের ব্যাটসম্যান। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই এসেছে ২৩২ রান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি।
মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ২৬ ছক্কার সঙ্গে ১৪ চারে বাউন্ডারি থেকে ২১২ রান নিয়েছিল নেপাল। আর ইন্দোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬০ রানের ম্যাচে বাউন্ডারি মেরে ২১০ রান করেছিল ভারত।
হায়দরাবাদে মোট ৪৭টি চার-ছক্কা মেরেছে ভারত। এটিও বিশ্বরেকর্ড। ২০১৯ সালে তুরস্কের বিপক্ষে ৪৩টি বাউন্ডারি মেরেছিল চেক প্রজাতন্ত্র।
ভারতের ছক্কার রেকর্ড
সাঞ্জু স্যামসন ৮, সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ৫, রিয়ান পারাগ ৪, হার্দিক পান্ডিয়া ৪ ও রিঙ্কু সিং ১- সব মিলিয়ে ২২টি ছক্কা মেরেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এটিই এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড।
২০১৯ সালের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তান ও গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজও মেরেছিল সমান ২২টি ছক্কা।
সব মিলিয়ে ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড নেপালের। মঙ্গোলিয়ান বিপক্ষে ৩১৪ রান করার ম্যাচে ২৬টি ছক্কা মেরেছিল তারা।
ভারতের রানের রেকর্ড
অল্পের জন্য তিনশ রান করতে পারেনি ভারত। তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ঠিকই গড়েছে তারা।
এতদিন রেকর্ডটি ছিল আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তারা করেছিল ৩ উইকেটে ২৭৮ রান।
সব মিলিয়ে ভারতের চেয়ে বেশি রান আছে শুধু নেপালের। গত বছর এশিয়ান গেমসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মঙ্গোলিয়ার অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল।
২৯৮ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
টস হেরে ফিল্ডিং নেমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে তুলাধুনা হলেন বাংলাদেশের বোলাররা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করল স্বাগতিকরা। ম্যাচ জিততে 'প্রায়' অসম্ভব এক লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ।
২০ ওভারের খেলায় ২৫টি চারের সঙ্গে ২২টি ছক্কা মেরেছে ভারত। সব মিলিয়ে শুধু বাউন্ডারি থেকেই তারা করেছে ২৩২ রান।
ভারতের পক্ষে ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ১১১ রান করেছেন সাঞ্জু স্যামসন। অধিনায়ক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ খেলেন ৩৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। দুজন মিলে দ্বিতীয় ইনিংসে গড়েন ১৭৩ রানের জুটি।
শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ৪৭ ও রিয়ান পারাগ ১৩ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তানজিম হাসান। বিপরীতে ৪ ওভারে ৬৬ রান খরচ করেন তিনি। যা বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২০ ওভারে ২৯৭/৬ (স্যামসন ১১১, আভিশেক ৪, সুরিয়াকুমার ৭৫, পারাগ ৩৪, পান্ডিয়া ৪৭, রিঙ্কু ৮*, নিতিশ ০, সুন্দার ১*; মেহেদি ৪-০-৪৫-০, তাসকিন ৪-০-৫১-১, তানজিম ৪-০-৬৬-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-৫২-১, রিশাদ ২-০-৪৬-০, মাহমুদউল্লাহ ২-০-২৬-১)
পান্ডিয়ার পর নিতিশকেও ফেরালেন তানজিম
শেষ ওভারে তানজিম হাসানের দ্বিতীয় বল ছক্কায় ওড়ালেন হার্দিক পান্ডিয়া। পরের বল হেলিকপ্টার শট খেলার চেষ্টা করলেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য ধরা পড়লেন সীমানায়। লং অফে লাফিয়ে চমৎকার ক্যাচে পান্ডিয়ার বিদায় নিশ্চিত করলেন রিশাদ হোসেন।
৪টি করে চার-ছক্কায় মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রান করেন পান্ডিয়া। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে শর্ট বল ছক্কা ওড়ানোর চেষ্টায় ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন নিতিশ কুমার রেড্ডি।
পারাগকে ফেরালেন তাসকিন
তাসকিন আহমেদের গুড লেংথ ডেলিভারি স্কুপ করার চেষ্টায় ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না রিয়ান পারাগ। তার ব্যাটে আলতো ছুঁয়ে বল জমা পড়ল লিটন কুমার দাসের গ্লাভসে। একটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কায় মাত্র ১৩ বলে ৩৪ রান করে ফিরলেন পারাগ।
১৮.৪ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭৬ রান। ১৫ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত হার্দিক পান্ডিয়া। নতুন ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং।
ভারতের রানের রেকর্ড
বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে মাত্র ১৮ ওভারেই নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলল ভারত।
ইন্দোরে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬০ রান করেছিল তারা।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড আফগানিস্তানের, ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৮ রান।
হাস্যকর ভুলে বাঁচলেন পান্ডিয়া
মুস্তাফিজুর রহমানের ইয়র্কার লেংথ ডেলিভারি ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না হার্দিক পান্ডিয়া। স্টাম্পের পাশেই রইল বল। দ্রুত রানের জন্য ছুটলেন রিয়ান পারাগ। তবে শুরুতে সাড়া দিলেন না পান্ডিয়া। ততক্ষণে অর্ধেকের বেশি চলে আসেন পারাগ।
বল ধরে মুস্তাফিজের হাতে না করে নন স্ট্রাইক প্রান্তের অনেক ওপর দিয়ে থ্রো করেন লিটন কুমার দাস। মিড অন থেকে দৌড়ে এসে নাজমুল হোসেন শান্তও পারলেন না ঠিকঠাক বল ধরতে। ততক্ষণে রান সম্পন্ন করে ফেলেন পান্ডিয়া।
২৫ রানে বেঁচে যান পান্ডিয়া। মাত্র ১৮ বলে পূর্ণ হয় তাদের জুটির পঞ্চাশ রান। পরের বলে মিড উইকেট থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে পারাগের ক্যাচ নিতে পারেননি পারভেজ হোসেন। ২৬ রানে জীবন পান পারাগ।
ওভারের শেষ দুই বলে একটি করে চার-ছক্কা মারেন পান্ডিয়া। টি-টোয়েন্টিতে ভারত ছাড়িয়ে যায় নিজেদের আগের সর্বোচ্চ ২৬০।
১৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬৭ রান। পারাগ ১০ বলে ২৭ ও পান্ডিয়া ১৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
সম্ভাবনা দিল্লিতেই জাগিয়েছিল ভারত। অল্পের জন্য সেদিন হয়নি। তবে হায়দরাবাদে ঠিকই বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলল তারা।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২২৪ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটি টপকে যেতে মাত্র ১৬ ওভার লেগেছে ভারতের।
১৭ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৫২ রান। টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বোচ্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে করা ২৬০ রান।
রিয়ান পারাগ ৮ বলে ২৫ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত।
ভারতের ছক্কার রেকর্ড
তানজিম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারি কভারের ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ালেন হার্দিক পান্ডিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড নতুন করে লিখল ভারত।
এখন পর্যন্ত ১৬ ওভারে ভারতের ছক্কা ১৬টি। চলতি সিরিজেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৫টি ছক্কা মেরেছিল তারা।
সব মিলিয়ে ম্যাচের ভারতের সর্বোচ্চ ২১টি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৭ সালে।
১৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৩৪ রান। রিয়ান পারাগ ৪ বলে ৮ ও পান্ডিয়া ৭ বলে ২২ রানে অপরাজিত।
সুরিয়াকুমারকে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই বড় সাফল্য পেলেন মাহমুদউল্লাহ। তার বল ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়লেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন ভারত অধিনায়ক।
ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান রিয়ান পারাগ ও হার্দিক পান্ডিয়া।
১৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১৩ রান।
স্যামসনকে থামালেন মুস্তাফিজ
নতুন স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে জুটি ভাঙলেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্লোয়ার শর্ট ডেলিভারিতে পুল খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি সাঞ্জু স্যামসন। ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন শেখ মেহেদি হাসান।
১১ চার ও ৮ ছক্কায় মাত্র ৪৭ বলে ১১১ রান করেন স্যামসন। তার বিদায়ে ভাঙল সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের সঙ্গে তার ১৭৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ভারতের হয়ে এর চেয়ে বড় জুটি আছে আর মাত্র দুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রিয়ান পারাগ। ৩৩ বলে ৭১ রানে অপরাজিত সুরিয়াকুমার।
১৪ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০১ রান।
সুরিয়া-স্যামসন জুটির রেকর্ড
১৪তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেন সাঞ্জু স্যামসন। একই সঙ্গে হয়ে গেল বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
১৩.১ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৯৪ রান। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৬৭ বলে ১৭১ রানের জুটি স্যামসন ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটেই ১৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশো।
৪০ বলে স্যামসনের সেঞ্চুরি
১৩তম ওভারে শেখ মেহেদি হাসানের প্রথম বল সোজা বাউন্ডারিতে পাঠালেন সাঞ্জু স্যামসন। মাত্র ৪০ বলে তিনি পৌঁছে গেলেন শতরানের ঠিকানায়।
ভারতের হয়ে এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে শুধু রোহিত শার্মার, ৩৫ বলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৩৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করার পথে ৯ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মেরেছেন স্যামসন।
২৩ বলে সুরিয়াকুমারের ফিফটি
প্রথম দুই ম্যাচে তেমন কিছু করতে না পারা সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ জ্বলে উঠলেন শেষ ম্যাচে। মাত্র ২৩ বলে তিনি স্পর্শ করলেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি করতে ৬ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মারেন ভারত অধিনায়ক।
১১ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬৬ রান। সুরিয়াকুমার ২৫ বলে ৫৮ ও সাঞ্জু স্যামসন ৩৭ বলে ৯৫ রানে অপরাজিত। জুটির সংগ্রহ ৫৩ বলে ১৪৩ রান।
৪৩ বলে জুটির একশ, ১০ ওভারে ভারতের ১৫২
দশম ওভারে রিশাদ হোসেন আক্রমণে ফিরতেই দ্বিতীয় বল ছক্কায় ওড়ালেন সাঞ্জু স্যামসন। মাত্র ৪৩ বলে পূর্ণ হলো সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের সঙ্গে তার জুটির একশ রান।
এরপর রিশাদের বাকি চার বলে আরও চারটি ছক্কা মারেন স্যামসন। মাত্র ১০ ওভারেই দেড়শ ছুঁয়ে ফেলে ভারত।
১০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫২ রান। স্যামসন ৩৫ বলে ৯২ ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৪৭ বলে ১২৯ রান।
ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে খেলা বন্ধ
নবম ওভার চলাকালে বন্ধ হয়ে গেল মাঠের একটি ফ্লাডলাইট। তাই আপাতত বন্ধ খেলা। এই সময়ে পানি বিরতি ডেকেছেন আম্পায়াররা।
৮.৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১৯ রান। সাঞ্জু স্যামসন ২৭ বলে ৬০ ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ২০ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৩৯ বলে ৯৬ রান।
২২ বলে স্যামসনের ফিফটি
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর আক্রমণে এলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম দুই বলে বাউন্ডারির পর তৃতীয় বল ছক্কায় ওড়ালেন সাঞ্জু স্যামসন। মাত্র ২২ বলে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন ফিফটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই দ্রুততম পঞ্চাশ।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি ছুঁতে ৮ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন স্যামসন।
৭ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৭ রান। স্যামসন ২৩ বলে ৫২ ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ১৫ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত।
সুরিয়া-স্যামসন জুটির পঞ্চাশ, পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট ৮২
আভিশেক শার্মাকে দ্রুত ফেরালেও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২২ বলে পঞ্চাশছোঁয়া জুটি গড়েছেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ও সাঞ্জু স্যামসন। পাওয়ার প্লেতে ৮২ রান করেছে ভারত।
দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের শেষ চার বলে চারটি চার মারেন স্যামসন। পরের ওভারে আভিশেকের উইকেট নিলেও একটি করে চার-ছক্কা হজম করেন তানজিম হাসান।
চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে একটি করে চার-ছক্কায় ১২ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে আসে ১৬ রান। আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তানজিমের শেষ চার বলে তিনটি চারের পর ছক্কা মারেন সুরিয়াকুমার।
সুরিয়াকুমার ১৩ বলে ৩৫ ও স্যামসন ১৯ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত।
পঞ্চম ওভারে ভারতের পঞ্চাশ
প্রথম ম্যাচের মতো শেষটিতেও পাওয়ার প্লের ভেতরেই পঞ্চাশ পূর্ণ করল ভারত। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে লেগ বাই থেকে পাওয়া বাউন্ডারিতে পঞ্চাশ পূর্ণ হয় তাদের।
৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৩ রান। সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ৯ বলে ১৭ ও সাঞ্জু স্যামসন ১৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ
তানজিম হাসানের ইয়র্কার লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারলেন না সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। পেছনের পায়ে লাগার পর জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। কিছুক্ষণ আলোচনা করে রিভিউ নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পিচ করেছে লেগ স্টাম্প লাইনের বেশ বাইরে। বৃথা যায় বাংলাদেশের প্রথম রিভিউ।
এক বল পর ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন ভারত অধিনায়ক। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের হতাশা আরও বাড়ান তিনি।
৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৫ রান। সুরিয়া ৪ বলে ১০ ও সাঞ্জু স্যামসন ১০ বলে ২০ রানে অপরাজিত।
প্রথম বলেই তানজিমের আঘাত
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিলেন তানজিম হাসান। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে শেখ মেহেদি হাসানের হাতে ধরা পড়লেন আভিশেক শার্মা। ৪ বলে ৪ রান করে ফিরলেন বাঁহাতি ওপেনার।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ২.১ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান।
আগের ওভারে তাসকিন আহমেদের শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন ৯ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকা সাঞ্জু স্যামসন।
ফেরার ম্যাচে প্রথম ওভারেই মেহেদি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর আবার একাদশে ফিরলেন শেখ মেহেদি হাসান। ওই ম্যাচের মতো এবারও প্রথম ওভারেই তাকে বোলিংয়ে আনলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এ নিয়ে ৪৯ ইনিংসের ক্যারিয়ারে ১৮ বার প্রথম ওভার বোলিং করলেন মেহেদি। পঞ্চম বলে বাউন্ডারিসহ ওভারে মোট ৭ রান দিলেন তিনি।
আরেকটি বড় রানের ম্যাচের অপেক্ষা
পিচ রিপোর্টে আভিনাব মুকুন্দ বলেছেন, 'এটি খুবই বড় রানের ভেন্যু। দুই পাশের বাউন্ডারি ৬৩ ও ৬৮ মিটার। সামনের সীমানা ৭৭ মিটার। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে কিছুটা নরম মনে হচ্ছে উইকেট, হালকা আর্দ্রতাও রয়েছে। উইকেটটি লাল ও কালো মাটির মিশ্রনে বানানো। তবু উইকেটটি পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। বোলারদের জন্যও কিছুটা সহায়তা থাকবে।'
ভারতের একাদশে এক পেসার
সিরিজের শুরু থেকেই বাংলাদেশের তিন পেসারের বিপরীতে দুজন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে খেলছে ভারত। শেষ ম্যাচের একাদশ থেকে তারা সরিয়ে নিল আরও একজনকে।
একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে একাদশে রইলেন শুধু মায়াঙ্ক ইয়াদাভ। এছাড়া দুই পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও নিতিশ কুমার রেড্ডি আছেন দলে।
বাঁহাতি পেসার আর্শদিপ সিংকে বিশ্রাম দিয়ে লেগ স্পিনার রাভি বিষ্ণইকে নিয়েছে ভারত।
ভারত একাদশ: সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, আভিশেক শার্মা, সাঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পারাগ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দার, ভারুন চক্রবর্তী, রাভি বিষ্ণই, মায়াঙ্ক ইয়াদাভ।
বাংলাদেশের একাদশে জোড়া পরিবর্তন
জয়ের খোঁজে শেষ ম্যাচের একাদশে দুটি পরিবররন করেছে বাংলাদেশ। বাদ দেওয়া হয়েছে জাকের আলি ও মেহেদী হাসান মিরাজকে।
দুজনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান ও বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, পারভেজ হোসেন, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচের মতো শেষটিতেও টস হারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
ভারত অধিনায়ক বলেছেন, শেষ দিকে শিশিরের উপদ্রব থাকতে পারে। তাই বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
শান্ত বলেছেন, টস জিতলে তিনি আগে বোলিংই করতেন। তাই টসের সিদ্ধান্তে খুশি তিনি।
মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার
২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে শুরু করা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৪০টি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। শনিবার ১৪১তম ম্যাচ খেলে ইতি টানবেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শুধু রোহিত শার্মা (১৫৯) ও পল স্টারলিং (১৪৭)। জর্জ ডকরেল খেলেছেন ঠিক ১৪১ ম্যাচ।
১৪০ ম্যাচে ১২৯ ইনিংস ব্যাটিং করে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের হয়ে এর চেয়ে বেশি রান শুধু সাকিব আল হাসানের (২ হাজার ৫৫১), তবে সবচেয়ে বেশি ৭৭টি ছক্কা মাহমুদউল্লাহর।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ের খোঁজ
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ জয়ের আশা শেষ হয়ে গেছে আগেই। শেষ ম্যাচ থেকে প্রাপ্তি হতে পারে শুধুই সান্ত্বনার জয়। আরেকটি কারণে বিশেষ এই ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে এটিই তার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে খেলা। এই ম্যাচ দিয়েই ১৭ বছরের বেশি সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ইতি টানবেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
গোয়ালিয়রের পর দিল্লিতে ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে একছত্র দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় শেষ ম্যাচের একাদশে তাই কিছু পরিবর্তন আনতে পারে তারা।