আফগান নারীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা নিষিদ্ধ করার পর এবার নার্সিং ইনস্টিটিউট বন্ধ করেছে তালেবান সরকার, প্রতিবাদে সরব আফগান ক্রিকেটের বড় দুই তারকা রাশিদ খান ও মোহাম্মদ নাবি।
Published : 05 Dec 2024, 12:33 PM
রাশিদ খানের পর এবার মোহাম্মাদ নাবি। তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুই তারকা। রাশিদের চেয়েও বরং আরও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেন নাবি। আফগান নারীদের ‘নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইভস’ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘প্রবল অন্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে নাবি তাগিদ জানালেন নারী শিক্ষার দুয়ার খুলে দিতে।
২০২১ সালের অগাস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই আফগান নারীদের রুদ্ধ করে রাখার পদক্ষেপ এসেছে একের পর এক। নারীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা ক্ষেত্রেও নারীদের অংশগ্রহণ একদম সীমিত করা হয়েছে।
খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে। তাতে থমকে গেছে আফগানিস্তান নারী ক্রিকেট দল গঠনের প্রক্রিয়াও। যদিও টেস্ট মর্যাদা পাওয়া ও আইসিসির রাজস্বের ভাগ পাওয়ার একটি শর্ত নারী ক্রিকেট কার্যক্রম চালু থাকা।
কেবল মেডিকেল বিভাগেই কিছুটা ছাড় দিয়ে নারী শিক্ষার কিছু কার্যক্রম চালু আছে। সেখানেও এবার একটি দুয়ার বন্ধ করা হয়েছে এই নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইভস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বন্ধ করে।
এই সিদ্ধান্তের পর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেন আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা রাশিদ। শুধু মেডিকেল শিক্ষাই নয়, নারীদের শিক্ষার সব দুয়ার খুলে দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
আফগান ক্রিকেটের প্রথম বৈশ্বিক তারকা নাবি আরও সুনির্দিষ্ট ও তীব্র ভাষায় অভিমত ও অনুরোধ জানালেন নিজের ‘এক্স’ পাতায়।
“নারীদের চিকিৎসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করার তালেবানদের সিদ্ধান্ত শুধু হৃদয় ভাঙার মতোই নয়, বরং প্রবল অন্যায়ও। ইসলামে সবসময়ই সবার জন্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং মুসলিম নারীদের প্রেরণাদায়ী উদাহরণ দিয়ে ইতিহাসও অনেক সমৃদ্ধ, প্রজন্মের পর প্রজন্মে নিজেদের জ্ঞানের আলোয় যারা অবদান রেখেছেন।”
“আমি তালেবানদের প্রতি তাগিদ জানাব এই ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করতে। নারীদের শেখার সুযোগ না দেওয়া ও দেশকে সেবা করার সুযোগ না দেওয়া মানে তাদের স্বপ্ন ও জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রতারণা করা। আমাদের মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিন, সমৃদ্ধ হতে দিন এবং সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ আফগানিস্তান গড়ে তুলুন। এটা তাদের অধিকার এবং আমাদের দায়িত্ব এটা রক্ষা করা।”
এছাড়াও কুরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে নারী শিক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করেন আফগানিস্তানের আরেক তারকা ক্রিকেটার রাহমানউল্লাহ গুরবাজও।