সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে শান্তকেই অধিনায়কত্ব দিতেন বলে জানালেন খালেদ মাহমুদ।
Published : 01 Feb 2024, 07:02 PM
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে নানা বাস্তবতায় আপাতত নাজমুল হোসেন শান্তর সম্ভাবনাই বেশি। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নজর কেড়েছেন সম্প্রতি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও পরে নিউ জিল্যান্ড সফরে। তবে বিপিএলে তাকে এই দায়িত্ব দেয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স, যা বিস্মিত করেছে বিপিএলের আরেক দল দুর্দান্ত ঢাকার প্রধান কোচ ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদকে।
গত আসরের মতো এবারের বিপিএলেও সিলেটের অধিনায়ক করা হয় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। যদিও জাতীয় নির্বাচনের ব্যস্ততা, পায়ের পুরোনো চোট ও ফিটনেসের ঘাটতি মিলিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে তাকে পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। তখন সিলেটের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে শান্তকেই দেখছিলেন অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত সহ-অধিনায়কও করা হয়নি তাকে। সেই দায়িত্ব পান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।
জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালনের জন্য ৫ ম্যাচ পর আপাতত বিপিএল থেকে বিরতি নিয়েছেন মাশরাফি। বাজে ফর্মের কারণে সবশেষ ম্যাচের একাদশে জায়গা না পেলেও সহ-অধিনায়ক মিঠুনকেই আনা হয় অধিনায়কের দায়িত্বে।
সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির সিদ্ধান্ত অবাক করেছে আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ খালেদ মাহমুদকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির এই পরিচালক বললেন, তিনি সিলেট দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে শান্তকেই নেতৃত্ব দিতেন।
"এটা তো যে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি… তাদেরই চিন্তাভাবনা… আমিও একটু অবাক হয়েছি যে কেন শান্ত অধিনায়ক নয়। অবশ্যই মাশরাফি আমাদের সেরা অধিনায়কদের একজন। তবে আশা করেছিলাম, শান্ত যেহেতু সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিল, তাই সিলেটে ওরই অধিনায়কত্ব করাটাই হয়তো ভালো হতো।”
“আমি যদি হতাম, এটাই হয়তো চিন্তা করতাম। আমি জানি যে, মাশরাফিও সেরকম। মাশরাফিও সবসময় তরুণদের সুযোগ দেয়… চেষ্টা করে।"
বিপিএলের গত আসরে সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়ে সর্বোচ্চ রানস্কোরার হয়েছিলেন শান্ত। তাকে নির্ভার হয়ে ব্যাট করার সুযোগ দিতেই অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছিল সিলেটের পক্ষ থেকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাস্তবতায় মালিকপক্ষের চাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছেন খালেদ মাহমুদও। তবে নিজের ভাবনার জায়গাও আবার তুলে ধরলেন তিনি।
"আমি জানি না, কারণটা কী, কেন মাশরাফিকে নেতৃত্ব দিতে হলো। মাশরাফি খেলতেই পারত। অধিনায়ক না হলে যে খেলতে পারবে না, এমন তো কথা নেই। তবু শান্ত যেহেতু বর্তমান জাতীয় অধিনায়ক ছিল… সাকিব না থাকায় নিউ জিল্যান্ডে অধিনায়কত্ব করেছে, সেক্ষেত্রে ওকে দেওয়াই যেত।”
“তবে এটা সম্পূর্ণ একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির আস্থার ব্যাপার। তাদের হয়তো মাশরাফির ওপরই ভরসা বেশি। হতেই পারে। তবে আমি হলে হয়তোবা বর্তমান অধিনায়ককেই (শান্ত) চিন্তা করতাম অবশ্যই।"
চাপমুক্ত রাখতে শান্তকে অধিনায়কত্ব না দিলেও এর সুফল এখনও পায়নি সিলেট। পাঁচ ম্যাচে বাঁহাতি ওপেনারের সংগ্রহ মোটে ৬৯ রান। সবশেষ তিন ম্যাচে দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি তিনি।