বল টেম্পারিং কাণ্ডের কারণে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে সাড়ে ছয় বছর পর মুক্তি পেলেন অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার।
Published : 25 Oct 2024, 10:50 AM
অস্ট্রেলিয়াকে আরেক দফায় নেতৃত্ব দিতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই শেষ হয়ে গেছে ডেভিড ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে একটু সান্ত্বনা, এবার অন্তত বিগ ব্যাশে নেতৃত্ব দিতে পারবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে অধিনায়কত্বে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার সাড়ে ছয় বছর পর তুলে নেওয়া হলো তার শাস্তি।
নিষেধাজ্ঞার সার্বিক পর্যালোচনার পর এই রায় দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীন ‘কন্ডাক্ট কমিশন।’ তিন সদস্যের কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে একমত হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মানদণ্ড পূরণ করেছেন ওয়ার্নার। ২০১৮ সালে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর তাকে ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
বল টেম্পারিং কাণ্ডের সময় অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। সেই সময়ের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের পাশাপাশি ওয়ার্নারকে তখন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল খেলা থেকেও। পরে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দুজনই খেলায় ফিরেছেন। নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা শেষে স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। এখনও তিনি টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক। তবে ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা ছিলই।
নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ ওয়ানডে ও ৯ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। অবসরের আগে অন্তত আরেক দফায় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করার ইচ্ছা তার ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণেই তা পূরণ হয়নি। গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তিনি।
নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, বিপিএলে সিলেট থান্ডারের অধিনায়কত্বও করেছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে এই ভূমিকায় আসার সুযোগ তার ছিল না।
এবার ৩৮তম জন্মদিনের দুই দিন আগে সেই বোঝা নেমে যাওয়ার সুখবর পেলেন ওয়ার্নার। দেশের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার সুযোগ এখন আর নেই। তবে বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথ খুলে গেল তার সামনে। আগামী আসরে তাকে থান্ডারের অধিনায়ক করার সম্ভাবনা প্রবল।
কন্ডাক্ট কমিশনের সামনে ওয়ার্নার অকপটে স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালে নিজের আচরণ দিয়ে তিনি ‘সবাইকে হতাশ করেছিলেন’ এবং এজন্য তিনি ‘শতভাগ দুঃখিত ও ভীষণরকমের অনুতপ্ত।’
পর্যালোচনার প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্রেগ চ্যাপেল, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার লিসা স্টালেকার এবং প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনের মতামত নিয়েছে কন্ডাক্ট কমিশন।