চার বছরে দেড়শ ম্যাচ, গর্বের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও দেখছে বিসিবি

বাংলাদেশকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেই এত ম্যাচ, দাবি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 09:46 AM
Updated : 18 August 2022, 09:46 AM

একসময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য হাপিত্যেশ করতে হতো বাংলাদেশকে। এখন আর সেই দিন নেই। সামনে তো আসছে ব্যস্ততায় ঠাসা সময়। আইসিসি আগামী ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে (এফটিপি) সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বাংলাদেশের! ক্রিকেট কূটনীতির লড়াইয়ে জিতে তৃপ্তির হাসি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের মুখে। তবে তার মনে শঙ্কার ছায়াও। এত ম্যাচে সামলাতে তো হবে!

২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত ভবিষ্যৎ সফর সূচি ঘোষণা করা হয় বুধবার। বাংলাদেশ এই সময়ে খেলবে ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দেড়শ আন্তর্জাতিক ম্যাচের সমান ম্যাচ নেই আর কোনো দেশেরই।

২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে অস্ট্রেলিয়ায়, ২০২৭ সালে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশকে নিয়ে বদলে যাওয়া দৃষ্টিভঙ্গিরই ছাপ পড়েছে এবারের ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে।

“ক্রিকেটার শুধু নয়, কোচিং স্টাফদের কথা চিন্তা করুন, কেউ নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাবে না। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এখন আমাদের। এখনকার এফটিপি অবিশ্বাস্য। আমরা সৌভাগ্যবান। যে পরিমাণ খেলা পেলাম, এতে অনেকগুলো ব্যাপার ফুটে ওঠে। আইসিসি বলেন বা অন্য দেশগুলো, তারা বাংলাদেশকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে খেলতে চাচ্ছে।”

ভবিষ্যৎ সফর সূচির এই ম্যাচগুলি হিসাব করা হয়েছে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টগুলো ছাড়াই। ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি টুর্নামেন্ট আছে প্রতি বছরই। এছাড়াও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি বুধবার জানান, এর বাইরেও খেলা আয়োজনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে তাই এত বেশি খেলার চ্যালেঞ্জের দিকটি নিয়েও বোর্ড ভাবতে শুরু করেছে, বললেন বিসিবি সভাপতি।

“এফটিপির বাইরেও খেলা আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে আরও খেলার। আইসিসি, এসিসি ইভেন্ট তো আছেই। অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এটি। আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপার যে এত খেলা পেয়েছি, কিন্তু এটাকে ম্যানেজ করা, সামলানো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ে বোর্ডের সবার সঙ্গে আলোচনা বসেছিলাম।”