বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৩০৮ রানে এগিয়ে ভারত।
Published : 20 Sep 2024, 09:58 AM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৭৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৯
ভারত ২য় ইনিংস: ২৩ ওভারে ৮১/৩
৩০৮ রানে এগিয়ে ভারত
দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করছেন বাংলাদেশ বোলাররা। তবে প্রথম ইনিংসের বিশাল লিডে এরই মধ্যে দুই দলের ব্যবধান ছাড়িয়েছে তিনশ।
চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ভারত এগিয়ে ৩০৮ রানে।
২৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করা দলটি বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে থামিয়ে নিয়েছিল ২২৭ রানের লিড।
ভারতের দুই ওপেনারের সঙ্গে ভিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৬৪ বলে ৩৩ রানে ব্যাট করছেন শুবমান গিল। একটি করে ছক্কা ও চারে ১৩ বলে ১২ রানে ব্যাট করছেন পান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৭৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৯
ভারত ২য় ইনিংস: ২৩ ওভারে ৮১/৩ (জয়সওয়াল ১০, রোহিত ৫, গিল ৩৩*, কোহলি ১৭, পান্ত ১২*; তাসকিন ৩-০-১৭-১, হাসান ৫-১-১২-০, নাহিদ ৩-০-১২-১, সাকিব ৬-০-২০-০, মিরাজ ৬-০-১৬-১)
কোহলিকে ফেরালেন মিরাজ
আগের বলে পুল করে চার মারলেন ভিরাট কোহলি। পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
অফ স্টাম্প ঘেঁষে করা ফুল লেংথ ডেলিভারি লেগে খেলতে চেয়েছিলেন কোহলি। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন করে বাংলাদেশ। তাতে সাড়া দিয়ে আউট দেন আম্পায়ার।
শুবমান গিলের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়েই ফেরেন কোহলি। রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতেন তিনি! কিন্তু ব্যাটের কানায় বলের মৃদু স্পর্শ টের পাননি ব্যাটসম্যান নিজেই। পরে সেটা ধরে পড়ে স্নিকো মিটারে।
৩৭ বলে দুই চারে ১৭ রান করেন কোহলি।
২০ ওভারে ভারতের রান ৩ উইকেটে ৬৭। ক্রিজে গিলের সঙ্গী রিশাভ পান্ত।
জয়সওয়ালকে ফেরালেন নাহিদ
আক্রমণে এসে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন নাহিদ রানা। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ইয়াশাসবি জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দিলেন তরুণ পেসার।
অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হলেন ১৭ বলে ১০ রান করা জয়সওয়াল।
ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলি ও শুবমান গিল।
৭ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৮ রান। তাদের লিড এখন ২৫৫ রানের।
শুরুতেই তাসকিনের ব্রেক থ্রু
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বারেও ব্যর্থ রোহিত শার্মা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের দারুণ ডেলিভারিতে স্লিপ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ভারত অধিনায়ক।
৭ বলে ৫ রান করেন রোহিত। তিন নম্বরে নামলেন শুবমান গিল।
৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬ রান। ইয়াশাসবি জয়সওয়াল ১০ রানে অপরাজিত। ভারতের লিড ২৪৩ রান।
১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ
জাসপ্রিত বুমরাহ আগের ওভারে দুটি বাউন্ডারি মেরে দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেন নাহিদ রানা। তবে মোহাম্মদ সিরাজের ওভারে আর টিকতে পারলেন না বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হলেন ১২ রান করা নাহিদ।
একই সঙ্গে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ দিকে বোলারদের কাছে বারবার স্ট্রাইক ছেড়ে দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত রইলেন ২৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড পেলেও বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি ভারত। তারাই আবার নামছে ব্যাটিংয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সাকিব আল হাসান। লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংসের একমাত্র পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিও গড়েন তিনি।
পরে শেষ দিকে বোলারদের নিয়ে দলকে কোনোমতে দেড়শর কাছে নিয়ে যান মিরাজ।
সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বুমরাহ। আকাশ দিপ, সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজার শিকার ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৭৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৭.১ ওভারে ১৪৯ (সাদমান ২, জাকির ৩, শান্ত ২০, মুমিনুল ০, মুশফিক ৮, সাকিব ৩২, লিটন ২২, মিরাজ ২৭*, হাসান ৯, তাসকিন ১১, নাহিদ ১১; বুমরাহ ১১-১-৫০-৪, সিরাজ ১০.১-১-৩০-২, আকাশ ৫-০-১৯-২, অশ্বিন ১৩-৪-২৯-০, জাদেজা ৮-২-১৯-২)
তাসকিনকে ফেরালেন বুমরাহ
টানা তিনটি বাউন্সার, এরপর নিখুঁত ইয়র্কার- টেস্ট ক্রিকে্টের নিখুঁত পরিকল্পনায় তাসকিন আহমেদকে বোল্ড করলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ১৩০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফলো-অনের দুয়ারে বাংলাদেশ।
২১ বলে ১১ রান করেন তাসকিন। ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৩২ রান। ফলো-অন এড়াতে প্রয়োজন ৪৫ রান। ৩৬ বলে ১৯ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ।
জীবন পেলেন তাসকিন
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি বড় শটের চেষ্টা করলেন তাসকিন আহমেদ। তবে ক্যাচ উঠে গেল মিড-অফে। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে নাগাল পেলেও হাতে রাখতে পারলেন না মোহাম্মদ সিরাজ। ৬ রানে বেঁচে গেলেন তাসকিন।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১২৬ রান। ফলো-অন এড়াতে এখনও প্রয়োজন ৫১ রান। মেহেদী হাসান মিরান ৩০ বলে ১৯ ও তাসকিন ১১ বলে ৭ রানে অপরাজিত।
ফলো-অনের শঙ্কা নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
চা বিরতির আগের ওভারে আক্রমণে ফিরেই ধাক্কা দিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন হাসান মাহমুদ।
২ চারে ২২ বলে ৯ রান করেন হাসান। তার বিদায়ের সঙ্গেই দেওয়া হয় চা বিরতি।
দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১১২ রান। ফলো-অন এড়াতে এখনও বাকি ৬৫ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ২৭.৫ ওভারে ৮৬ রান করতে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশন শুরুর পরপরই আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৪০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ৫১ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস।
দুজনই আউট হন বাজে শট খেলে। ১৮ রান করেন লিটন, সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
এরপর হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ করেন ২১ রান। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে ফিরে যান হাসান।
আরেকটি অহেতুক শটে ফিরলেন সাকিব
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে তার কৃতিত্বের পাশাপাশি বড় দায় লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসানের বাজে শটেরও।
জাদেজার স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। বল তার ব্যাটে লেগে জুতায় পড়ে উঠে যায় ওপরে। সামনে এসে সহজ ক্যাচ নেন রিশাভ পান্ত।
৫ চারে ৬৪ বলে ৩২ রান করেন সাকিব। একশর আগে ৭ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে বাংলাদেশ।
৩১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯২ রান। ফলো-অন এড়াতে এখনও প্রয়োজন ৮৫ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদ।
অহেতুক শটে লিটনের বিদায়
চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দেওয়ার পর হুট করেই বাজে শটে উইকেট দিয়ে এলেন লিটন কুমার দাস।
রবীন্দ্র জাদেজার অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি সুইপ করে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সীমানার অনেকটা ভেতরে দারুণ ক্যাচ নিলেন বদলি ফিল্ডার ধ্রুব জুরেল।
২৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৯১ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলো-অন এড়াতে প্রয়োজন আরও ৮৬ রান।
সাকিব-লিটন জুটির পঞ্চাশ
শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসান। এরই মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন পঞ্চাশ রান।
২৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯১ রান। লিটন ৪০ বলে ২২ ও সাকিব ৫৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত। ভারতের চেয়ে এখনও ২৮৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
সাকিব-লিটনের জুটি গড়ার চেষ্টা
দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পর চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে লড়ছেন লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় আর উইকেট পড়তে দেননি তারা।
চোখের সমস্যাজনিত কারণে মাথার পজিশন ঠিক রাখতে অস্বস্তি তৈরি হওয়ায় হেলমেটের ফিতা কামড়ে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে সাকিবকে। বেশ কিছু ডেলিভারি তার ব্যাটের কানাও ছুঁয়ে গেছে৷ তবে বিপদ ঘটেনি।
২২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৬ রান। সাকিব ৩৩ বলে ২০ ও লিটন ২৮ বলে ১৮ রানে খেলছেন। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৩৬ রান।
টিকলেন না মুশফিক
দলের বিপদে হাল ধরতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। জাসপ্রতি বুমরাহর চমৎকার ডেলিভারিতে দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়লেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বলের লাইনেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে তার ব্যাটের কানা নিয়ে যায় বল। স্লিপে কোনো ভুল করেননি লোকেশ রাহুল।
দুই চারে ১৪ বলে ৮ রান করেন মুশফিক।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৪০। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী লিটন দাস।
শান্তকে ফেরালেন সিরাজ
মধ্যাহ্ন-বিরতির পর নাজমুল হোসেন শান্তকে হারাল বাংলাদেশ। ৩৬ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে চাপ বাড়ল সফরকারীদের।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন শান্ত। বলের লাইনে যেতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে স্লিপে, ভিরাট কোহলির হাতে।
পরপর দুই বলে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উইকেট পেতে পারতেন সিরাজ। শান্তর পর ফিরে যেতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তার ভাগ্য ভালো একটুর জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি বল।
১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪০। ৫ বলে চার রানে খেলছেন সাকিব। ৯ বলে মুশফিকুর রহিমের রান ৮।
৭ উইকেটের সেশনে চাপে বাংলাদেশ
তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ে দিনের শুরুটা ভালো হলেও, টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে ৩৫০ রানে পিছিয়ে তারা।
নাজমুল হোসেন শান্ত ২২ বলে ১৫ ও মুশফিকুর রহিম ৪ বলে ৪ রানে নতুন সেশনের খেলা শুরু করবেন।
প্রথম ওভারেই সাদমান ইসলামকে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরে আক্রমণে এসে পরপর দুই বলে একইভাবে জাকির হাসান ও মুমিনুল হকের স্টাম্প এলোমেলো করে দেন আকাশ দিপ।
এর আগে তাসকিন আহমেদের ৩টি ও হাসান মাহমুদের ১ উইকেটে মাত্র ৩৭ রান যোগ করতেই ভারতের বাকি ৪ উইকেট নিয়েছিল বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে প্রথম সেশনে মাত্র ৬৩ রানে পড়েছে ৭টি উইকেট। যেখানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট নিলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বস্তি নেই তাদের।
প্রথম বলেই বোল্ড মুমিনুল
পরপর দুই বলে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করলেন আকাশ দিপ। জাকির হাসানের পর প্রায় একইভাবে স্টাম্প এলোমেলো হতে দেখলেন মুমিনুল হক।
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টায় আলসে ভঙ্গিতে ব্যাট নামান মুমিনুল। তাতেই ঘটে বিপদ। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত করে স্টাম্পে।
নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম সাবধানী ব্যাটিংয়ে ঠেকিয়ে দেন আকাশের হ্যাটট্রিক।
৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬ রান।
টিকলেন না জাকিরও
অল্পেই দুই ওপেনারের উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে আকাশ দিপের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমের ফিরলেন জাকির হাসান।
২২ বলে ৩ রান করেন জাকির। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। ২২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত।
সুযোগ হারাল ভারত
লেগ স্টাম্পে পিচ করা ডেলিভারি জাকির হাসানের প্যাডে লাগতেই আবেদনের চেয়ে বরং উদযাপন শুরু করলেন মোহাম্মদ সিরাজ। কিন্তু সাড়া দিলেন না আম্পায়ার।
পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন সিরাজ। তবে অন্য ফিল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার পর রিভিউ নিলেন না রোহিত শার্মা।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত লেগ স্টাম্পে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে ফিরতে হতো ২ রানে থাকা জাকিরকে।
৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২ রান।
শুরুতেই ফিরলেন সাদমান
টিকতে পারলেন না সাদমান ইসলাম। প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন বাহতি ওপেনার।
জাসপ্রিত বুমরাহ অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি না খেলে ছেড়ে দেন সাদমান। অফ স্টাম্পের বেল উড়িয়ে দেয় ওই বল।
৬ বলে ২ রান করেন সাদমান। জাকির হাসানের সঙ্গে যোগ দিতে ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
হাসানের রেকর্ড
বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ভারতের মাঠে ৫ উইকেট নিলেন হাসান মাহমুদ। চার ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ৫ উইকেট। দুটিই দেশের বাইরে। ঠিক আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নেন তিনি।
বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে দেশের বাইরে একাধিক ৫ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার হাসান। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে দুইবার ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম।
১০ ক্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড
লিটন কুমার দাস ৪, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩, জাকির হাসান ২, সাদমান ইসলাম ১- ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চার ফিল্ডার মিলে নিলেন ১০টি ক্যাচ।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের দশ ব্যাটসম্যানকে ক্যাচ আউট করার বাংলাদেশের প্রথম ঘটনা এটি।
এছাড়া ঘরের মাঠে এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবার ভারতের দশ ব্যাটসম্যানের সবাই ক্যাচ আউট হলেন।
৩৭৬ রানে অলআউট ভারত
দ্বিতীয় দিন ভারতের ইনিংসের সমাপ্তি টানতে বেশি সময় নিল না বাংলাদেশ। এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ও ১১.২ ওভারে বাকি থাকা ৪ উইকেট নিয়ে নিল সফরকারীরা। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ৩৭ রান যোগ করে গুটিয়ে গেল ভারত।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সেঞ্চুরি, রবীন্দ্র জাদেজা ও ইয়াশাসবি জয়সওয়ালের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৯১.২ ওভারে ৩৭৬ রান।
আগের দিন কিছুটা এলোমেলো বোলিং করা তাসকিন আহমেদ দ্বিতীয় দিন সকালে দ্বিতীয় নতুন বলে গুছিয়ে নেন দারুণভাবে। জাদেজাকে ফিরিয়ে ১৯৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙার পর আকাশ দিপ ও অশ্বিনের উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার।
পরে জাসপ্রিত বুমরাহকে আউট করে ৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট পূর্ণ করেন হাসান মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৯১.২ ওভারে ৩৭৬ (আগের দিন ৩৩৯/৬) (জাদেজা ৮৬, অশ্বিন ১১৩, আকাস ১৭, বুমরাহ ৭, সিরাজ ০*; তাসকিন ২১-৪-৫৫-৩, হাসান ২২.২-৪-৮৩-৫, নাহিদ ১৮-২-৮২-১, মিরাজ ২১-২-৭৭-১, সাকিব ৮-০-৫০-০, মুমিনুল ১-০-৪-০)
বুমরাহকে ফিরিয়ে হাসানের 'পাঁচ'
হাসান মাহমুদের ফুল লেংথ ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় জাসপ্রিত বুমরাহর প্যাডে লাগতেই বাংলাদেশের জোরাল আবেদন। সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। রিভিউ নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে বুমরাহর ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে গেছে বল। তাই বৃথা যায় রিভিউ।
তবে উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। পরের বলেই বুমরাহকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেন হাসান।
৩৭৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
তাসকিনের তৃতীয় শিকার অশ্বিন
নতুন সকালে দারুণ ছন্দে তাসকিন আহমেদ। পরপর তিন উইকেট নিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারি বড় শটের খোঁজে মিড অফে ক্যাচ দিলেন অশ্বিন।
১১ চার ও ২ ছক্কায় ১৩৩ বলে ১১৩ রান করেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হল প্রথম ঘণ্টার পানি বিরতি।
প্রথম ঘণ্টায় ১০.৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩৫ রান, বিপরীতে বাংলাদেশ নিয়েছে ৩ উইকেট।
৯০.৫ ওভারে ভারতের স্কোর ৯ উইকেটে ৩৭৪ রান। ক্রিজে শেষ দুই ব্যাটসম্যান জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
আকাশকে ফেরালেন তাসকিন
জীবন পেয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না আকাশ দিপ। তাসকিন আহমেদের বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৩০ বলে ১৭ রান করা আকাশ।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাসপ্রিত বুমরাহ। ১২৮ বলে ১১২ রানে অপরাজিত রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
৮৯ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৭১ রান।
ক্যাচ ছাড়লেন সাকিব
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেটের সুযোগ তৈরি করলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু নিতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। ৮ রানে বেঁচে গেলেন আকাশ দিপ।
তাসকিনের শর্ট ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় আকাশের ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে উঠে যায় মিড উইকেটের দিকে। কিছুটা পেছন দিকে দৌড়ে নাগাল পেলেও হাতে রাখতে পারেননি সাকিব।
৮৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১২১ বলে ১০৭ ও আকাশ ১৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত।
মুশফিকের রেকর্ডে ভাগ বসালেন লিটন
রবীন্দ্র জাদেজার বিদায় নিশ্চিত করে ইনিংসে চতুর্থ ক্যাচ নিলেন লিটন কুমার দাস। টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে চারবার এক ইনিংসে ৪ ক্যাচ নিলেন লিটন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন লিটন। প্রথমজন- মুশফিকুর রহিম।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ ক্যাচের রেকর্ডও মুশফিকের। দুবার ইনিংসে ৫ ক্যাচ নেন তিনি। এছাড়া ইমরুল কায়েসেরও আছে উইকেটরক্ষক হিসেবে ইনিংসে ৫ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড।
ম্যারাথন জুটি ভাঙলেন তাসকিন
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ব্রেক থ্রু দিলেন তাসকিন আহমেদ। দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে চমৎকার ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮৬ রান করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে ভাঙল ১৯৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আকাশ দিপ। ১০৬ রানে অপরাজিত রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দ্বিতীয় নতুন বল
প্রথম দিন ৮০ ওভার বোলিং করার পর দ্বিতীয় নতুন বল নিতে দেরি করেনি বাংলাদেশ। তাই প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও নতুন বলে বোলিং শুরু করতে পারল সফরকারীরা।
ভারতকে দ্রুত অলআউটের লক্ষ্যে বাংলাদেশ
হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুটা চমৎকার করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার বড় জুটিতে চালকের আসনে ভারত।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরমে প্রথম দিন শেষে ৮০ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান। অশ্বিন ১১২ বলে ১০২ ও জাদেজা ১১৭ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত। দুজনই মেরেছেন ১০ চার ও ২টি করে ছক্কা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত একপর্যায়ে ৩৪ রানে হারায় ৩ উইকেট। পরে কিছুটা সামাল দিলেও ১৪৪ রানে তারা হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ছিল দুইশর আগে তাদের গুটিয়ে দেওয়ার।
সপ্তম উইকেট জুটিতে সেই আশা শেষ করে দেন জাদেজা ও অশ্বিন। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৯৫ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটিই ভারতের রেকর্ড।
এছাড়া বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮ নম্বরে নেমে ৪টি সেঞ্চুরির কৃতিত্ব অর্জন করেন অশ্বিন। এর আগে শুধু ড্যানিয়েল ভেটোরির আছে এই কীর্তি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে):
ভারত ১ম ইনিংস: ৮০ ওভারে ৩৩৯/৬ (জয়সওয়াল ৩৯, রোহিত ৬, গিল ০, কোহলি ৬, পান্ত ৩৯, রাহুল ১৬, জাদেজা ৮৬*, অশ্বিন ১০২*; তাসকিন ১৫-১-৪৭-০, হাসান ১৮-৪-৫৮-৪, নাহিদ ১৭-২-৮০-১, মিরাজ ২১-২-৭৭-১, সাকিব ৮-০-৫০-০, মুমিনুল ১-০-৪-০)