পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজ
ছেলেদের টেস্টে প্রথমবারের মতো মাত্র একজন পেসার নিয়ে পাকিস্তানকে খেলতে দেখা যেতে পারে।
Published : 14 Oct 2024, 08:37 PM
‘সড়কের মতো’ উইকেটেও ব্যাটিং ধস এবং ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবে পর্যদুস্ত হওয়ার পর পরিকল্পনা পুরো পাল্টে ফেলেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য বিশেষজ্ঞ ও অলরাউন্ডার মিলিয়ে পাঁচ স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে স্বাগতিকরা।
মুলতানে মঙ্গলবার শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর জন্য আগের দিন চমক জাগানো একাদশ ঘোষণা করেছে প্রথম টেস্ট বাজেভাবে হেরে যাওয়া পাকিস্তান।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার আমের জামালের সঙ্গে আছেন তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার- বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি, লেগ স্পিনার জাহিদ মাহমুদ ও অফ স্পিনার সাজিদ খান। আরও স্পিন প্রয়োজন হলে আছেন দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার কামরান গুলাম ও সালমান আলি আঘা।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম টেস্ট যে পিচে হয়েছিল, সেই পিচেই হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। আর অবাক করার বিষয় এখানেই। ওই পিচেই প্রথম টেস্টের প্রথম তিন দিন দেখা গিয়েছিল রান-বন্যা। চতুর্থ দিনের প্রথম ভাগেও ছিল একই চিত্র।
এরপরই পাল্টে যায় সব; প্রথম ইনিংসে তিন সেঞ্চুরিতে ৫৫৬ রান করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২২০ রানে। একমাত্র ইনিংসে ৮২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করা ইংল্যান্ড জয় পায় ইনিংস ও ৪৭ রানে।
ওই ম্যাচের একাদশ থেকে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফিটনেস কিংবা ফর্মজনিত কারণে দুজনকেই স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বোলিং বিভাগকে নিয়ে সেই ম্যাচে ছেলেখেলা করে ইংল্যান্ড।
অবশ্য এবার স্পিনারদের নিয়ে আক্রমণ সাজালেও, আসছে ম্যাচেও হয়তো কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে পাকিস্তান দলকে। সাম্প্রতিক সময়ে মানসম্পন্ন স্পিনারই যে পাচ্ছে না তারা। প্রথম ম্যাচে তাদের সামনের সারির স্পিনার আবরার আহমেদ থাকলেও, অসুস্থতার কারণে টেস্ট চলাকালেই তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে।
মাস দুয়েক আগে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরোপুরি পেস-নির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। এতেও প্রমাণ মেলে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মাঠে তারা কী ধরনের পিচে খেলতে চাইছে সেটা নিয়ে স্থির কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তারা।
পাকিস্তানের এবারের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেট এখনও শুরু হয়নি। তাই, এবার একাদশে ডাক পাওয়া তিন স্পিনারের নিকট অতীতে লাল বলে খেলার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। ১৫ টেস্ট খেলা নোমান সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। আর দুই টেস্ট খেলা মাহমুদ ও আট টেস্ট খেলা সাজিদ গত বছরের জানুয়ারির পর আর খেলেননি।
ব্যাটিং বিভাগেও আছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। টানা বাজে ফর্মে থাকায় স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে, তার জায়গায় খেলবেন অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন কামরান। ব্যাটিং বিভাগে আর কোনো পরিবর্তন নেই।
এই ম্যাচে যদি অধিনায়ক শান মাসুদ অথবা মোহাম্মদ রিজওয়ান হাত না ঘোরান, তাহলে প্রথমবারের মতো পুরুষদের টেস্টে মাত্র এক পেসার নিয়ে খেলবে পাকিস্তান।
পাকিস্তান একাদশ: আব্দুল্লাহ শাফিক, শান মাসুদ (অধিনায়ক), কামরান গুলাম, সাউদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলি আঘা, আমের জামাল, নোমান আলি, সাজিদ খান, ও জাহির মাহমুদ।