ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিনে দারুণ বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০৪ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪। দিনের খেলার তখনও বাকি ছিল ২৬ ওভার। তবে আলোকস্বল্পতায় যে অত ওভার খেলা হবে না, তা নিশ্চিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত খেলা হতে পেরেছে স্রেফ ৬ ওভার। বাংলাদেশের টপ অর্ডার শেষ ওইটুকুতেই। ১১ রানেই নেই ৩ উইকেট!
বাউন্সি উইকেটে গতিময় বা আগ্রাসী পেসারদের সামলানোর চ্যালেঞ্জ এখানে ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনারকে সামলে নিলেই চলত। তাদের কেউ বলে খুব বাঁক খাওয়ানোর মতো বোলারও নন। কিন্তু তাদের বলেই ধুঁকেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং।
দুই ওপেনারের মধ্যে সিনিয়র সাদমান ইসলাম রানই করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ম্যারাথন ইনিংস খেলা মাহমুদুল হাসান জয় ৪ রানে শেষ ১৪ মিনিট খেলেই। সবচেয়ে হতাশ করেছেন মুমিনুল হক। বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজের বলে আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটু শটে, কিংবা বলা যায় শট না খেলে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ চেষ্টা করলেন ওই সময়ের ব্যাটিং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করার।
“বলা খুব কঠিন (কেন টিকতে পারেনি টপ অর্ডার)…ব্যাটসম্যানরা তো টিকে থাকতেই চায়। পরিকল্পনা ওরকমই ছিল যে আমরা আজকে উইকেট দেব না, যতক্ষণ ব্যাটিং করা যায়… রানটা বড় কথা ছিল না। আজকের দিনটি পার করাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
“তবে ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। আমরা যদি দেখি, সাদমানের বলটা স্পিন করে গেছে, জয়ের ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক ছিল, মুমিনুলের ব্যাটটা একটু আটকে গিয়েছিল, লাইন মিস করেছে। সুতরাং আমরা যে টিকে থাকতে চাইনি, তা নয়। ক্রিকেটে এরকম হয়। হয়তো ভালো বল হয়ে গেছে বা আমরা ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি।”