২০০৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কোহলির নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ওই বছরই ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে যায় তার। ওপেনিং দিয়ে শুরু করে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকার পর ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে যান তিনি তিন নম্বর পজিশনে। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পথে রাখেন অবদান। ওই বছরই তার টেস্ট অভিষেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।
এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণ মাতিয়ে খেলোয়াড়ী জীবনেই তিনি হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি। এখন তার অপেক্ষায় বড় এক মাইলফলক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া মোহালি টেস্ট তার ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট।
ভারতের দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে অভিজাত এই ক্লাবের সদস্যপদ পেতে যাচ্ছেন কোহলি। শুধু ভারতের হয়েই নয়, ২০০ টেস্ট খেলে টেস্ট ইতিহাসেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড যার, সেই টেন্ডুলকার ভারতীয় বোর্ডের বিশেষ এক ভিডিওতে শুভেচ্ছা জানালেন কোহলিকে।
“আমার মনে আছে, প্রথমবার তোমার কথা শুনছিলাম, যখন ২০০৭ সালে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম। তোমরা মালেয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ছিলে। আমাদের দলের কয়েকজন তখন তোমাকে নিয়ে আলোচনা করছিল যে, একজন খেলোয়াড় আছে নজর রাখার মতো, দারুণ ব্যাটিং করে।”
“মাঠে নেমে যাও (শততম টেস্টে) এবং ভালো করো।”
আরেক কিংবদন্তি, ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার রেকর্ড যার (১৬৩) এবং এখনকার কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও শুভ কামনা জানালেন কোহলিকে।
“একটি টেস্ট খেলতে পারাও দারুণ কিছু। ১০০ টেস্ট খেলতে পারা তো অসাধারণ। এটা এমন একটা অর্জন, যা নিয়ে বিরাট কোহলি গর্ব করতে পারে।”
“অল দা বেস্ট, দিনটি উপভোগ করো, উপলক্ষ্য রাঙাও। অবশ্যই গর্ব করত পারো।”
১১৩ টেস্ট খেলা সাবেক ব্যাটসম্যান ও ভারতীয় বোর্ডের বর্তমান প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি তুলে ধরলেন কোহলির অর্জনের বিশালত্ব।
“অসাধারণ এক ভ্রমণ চলছে কোহলির। ১০-১১ বছর আগে যেখান থেকে শুরু করেছিল, সেখান থেকে আজকের পর্যায়ে আসতে পারা অসাধারণ অর্জন। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এবং সাবেক অধিনায়ক ও ১০০ টেস্ট খেলা সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে আমি তাকে শুভেচ্ছা জানাই ও সাফল্য কামনা করি।”