অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সফর নিয়ে সতর্ক করে অ্যাগারকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে তার সঙ্গীর ইনস্টাগ্রামে বার্তা পাঠানো হয়।
পরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও পিসিবি উভয়েই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ডকে তারা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করছে না।
“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট সম্পর্কে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবগত। এর ধরন ও বিষয়বস্তু পিসিবি, সিএ ও সম্মিলিত সরকারী নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তদন্ত করেছে৷ সেখানে ব্যাপক নিরাপত্তা রয়েছে৷ এই ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকলাপ ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয় না৷ বিষয়টি নিয়ে এই সময়ে আর কোনো মন্তব্য করা হবে না।”
তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সফরে রোববার পাকিস্তানে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সফরে এসেছে তারা।
ইসলামাবাদে নেমে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, দেশটিতে পা রেখে খুব নিরাপদ অনুভব করছেন তিনি।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশি দলগুলোর শঙ্কা বেশ পুরনো। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অনেক বাধা পেরিয়ে গত কয়েক বছরে সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে সক্ষম হয়েছে পিসিবি। সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ।
গত বছর নিউ জিল্যান্ডও গিয়েছিল পাকিস্তান সফরে। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কার কারণ দেখিয়ে সিরিজ শুরুর দিন তারা বাতিল করে দেয় সফর। এরপর ইংল্যান্ডও তাদের পুরুষ ও নারী দুই দলকে পাঠায়নি পাকিস্তানে।
এবার অস্ট্রেলিয়ার সফরটি তাই অনেক দিক থেকেই পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগামী শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট দিয়ে শুরু হবে মাঠের লড়াই।