চলতি অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট হারার পর রুটের নেতৃত্বে আঙুল তোলেন ম্যাককালাম। ব্রিজবেনে হওয়া ম্যাচটি চার দিনে ৯ উইকেটে হেরে যায় সফরকারীরা।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রুট। তার নেতৃত্বে ৫৭ টেস্টে সর্বোচ্চ ২৭টিতে জিতেছে তারা। দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট জয় মাইকেল ভনের অধিনায়কত্বে, ২৬টি।
কিন্তু চলতি বছর অধিনায়ক হিসেবে সময়টা ভালো কাটছে না রুটের। ১৩ টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে পেরেছেন কেবল চারটিতে। অ্যাশেজে শুরুর আগে রুট বলেছিলেন, তার নেতৃত্বের মূল্যায়ন হবে এই সিরিজে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হেরেই তিনি জন্ম দিলেন নানা প্রশ্নের।
নিউ জিল্যান্ডের রেডিও চ্যানেল এসইএনজেড-এর এক অনুষ্ঠানে ম্যাককালাম বলেন, ভালো নেতার তেমন কোনো গুণই রুটের মধ্যে চোখে পড়েনি তার।
“আমি মনে করি, জো রুট দারুণ মানুষ এবং অসাধারণ এক ক্রিকেটার। অনেকেই বলে, সে খুবই ভালো নেতা…আমি সত্যিই এমন কিছুই দেখিনি। আমার কাছে নেতৃত্ব দেওয়া মানে শুধু অধিনায়ক হিসেবে ট্যাকটিক্যালি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়। এই জায়গায় আমার চোখে সে বিশ্বসেরা নয়। কখনও কখনও সে খেলাটাকে হাত থেকে ছুটে যেতে দেয়।”
নিউ জিল্যান্ডকে ৩১ টেস্ট, ৬২ ওয়ানডে ও ২৮ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাককালামের মতে, প্রতিপক্ষকে সবসময় চাপে রাখতে পারেন না রুট। মাঝে মধ্যে ছেড়ে দেন ম্যাচের লাগাম। যেমনটা হয়েছে ব্রিজবেন টেস্টে। ২৩৬ রানে ৬ উইকেট তুলে নিলেও অস্ট্রেলিয়াকে তারা থামাতে পারেনি দ্রুত। শেষ ৪ উইকেটে স্বাগতিকরা তুলে নেয় আরও ১৮৯ রান।
“তারা অস্ট্রেলিয়াকে ওই দিন বাগে পেয়েছিল, কিন্তু সে ম্যাচ হাত থেকে ছুটে যেতে দিয়েছিল। যখন অস্ট্রেলিয়াকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ দেওয়া হয়, তারা সেটাই করে।”
চলতি বছর ব্যাট হাতে অবশ্য দারুণ ছন্দে রয়েছেন রুট। এক হাজার ৫৪৪ রান করে গড়েছেন ইংল্যান্ডের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। তবে ম্যাককালামের মতে, নেতৃত্ব মানেই দলের জন্য রান করা নয়।
“নেতৃত্ব দেওয়া মানে দলের সেরা খেলোয়াড় হওয়া নয়। নেতৃত্বের মানে হলো চার পাশে থাকা মানুষগুলো সাধারণভাবে যে সাফল্য অর্জন করতে পারে তাদের এর চেয়ে বড় অর্জনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। মূল বিষয় হলো, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপে আর কেউ জো রুটের নেতৃত্বে উন্নতি করতে ও ভালো কিছু করতে পারেনি, এটাই উদ্বেগের।
“সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা অধিনায়ক ও অন্য খেলোয়াড়দের মধ্য অগ্রগতির ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। যা মূলত বাকিদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কখনও কখনও সবচেয়ে ভালো ক্রিকেটার সবসময় সেরা অধিনায়ক হতে পারে না।”
আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। অ্যাডিলেইডে ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির।