বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের শেষ ওভারের ঘটনা সেটি। ওভারের প্রথম ৫ বলে রোমাঞ্চের নানা মোড় পেরিয়ে ৩ উইকেট আর একটি ছক্কার পর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় শেষ বলে।
এরপর সেই ডেলিভারি। জয়ের জন্য তখন পাকিস্তানের প্রয়োজন ২ রান। মাহমুদউল্লাহ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে বল ছাড়েন উইকেটের বেশ পেছন থেকে। এতেই হয়তো অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন মাত্রই উইকেটে আসা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ। শেষ মুহূর্তে তিনি বল না খেলে ছেড়ে দেন। বল লাগে স্টাম্পে।
তবে নওয়াজ দাবি করেন ‘ডেড বল।’ আম্পায়ার তানভির আহমেদ ‘ডেড বল’ সঙ্কেত দেন। মাহমুদউল্লাহ ও বাংলাদেশের ফিল্ডাররা শুরুতে একটু প্রতিবাদ করলেও পরে মেনে নেন।
ক্রিকেটের নিয়মে আছে, বল খেলার আগ পর্যন্ত কোনো কারণে সরে যেতেই পারেন ব্যাটসম্যান। তবে সেটা যৌক্তিক কোনো কারণ হতে হবে। হতে পারে সেটা চোখের সামনে হুট করে পাখি বা পোকা উড়ে যাওয়া, সাইটস্ক্রিনের সামনে বা আশেপাশে কেউ বা কিছু নড়াচড়া করা কিংবা কোনো কারণে ব্যাটসম্যানের অস্বস্তি হলে। নওয়াজের ক্ষেত্রে, বারবার টিভি রিপ্লেতে দেখে সেরকম কোনো অস্বস্তি চোখে পড়েনি। বরং মাহমুদউল্লাহর বলটি উইকেটে পিচ করা পর্যন্ত স্টান্সেই ছিলেন তিনি।
ক্রিকেটের নিয়মে, এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের। তিনিই ঠিক করবেন, ব্যাটসম্যান আসলেই অপ্রস্তুত ছিলেন কী না।
যৌক্তিক ভিত্তি থাকলেও সেসময় প্রতিবাদ না করে সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় মাহমুদউল্লাহর স্পোর্টসম্যানশিপের দারুণ প্রশংসা করেন ধারাভাষ্যকাররা।
পরে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন সেই নওয়াজই।
ম্যাচের পর মাহমুদউল্লাহ আর এই বিতর্কের গভীরে যেতে চাইলেন না।
“আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা…আমি স্রেফ জিজ্ঞেস করছিলাম, ও (নওয়াজ) অনেক শেষ মুহূর্তে সরে গেছে। এই কারণেই জিজ্ঞেস করছিলাম যে, এটা বৈধ বল কী না। স্রেফ জিজ্ঞেস করছিলাম, এর বাইরে কিছু না।”
“আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং আমরা আম্পায়ারদের সম্মান করি।”